হঠাৎ একটা উল্কা
আকাশের বিশাল চত্বরে
এক প্রান্ত হতে যদি অন্য প্রান্তে
অকস্মাৎ ঝরে ।
তাহলে তো দেখা যাবে তার দীপ্ত
চমকিত সে আলো,
ক্ষণকাল আকাশের নীলে ।
কিন্তু যে উল্কা আগেই মৃত
দীপ্তিহীন তার আলো বিস্ফোরণ
যাবে নাকো দেখা নীল আকাশের কোণে ।
আকাশের কৃষ্ণ গহ্বরে-
সে উল্কা হারিয়ে যায়,
হারিয়ে যায় উল্কার ফসিল নিভৃত নীরবে ।
তাই আমি যতক্ষণ বেঁচে থাকি
সজীব জীবন্ত থাকতে চাই,
অশক্ত শরীরে তবু পেতে চাই শক্তির ব্যঞ্জনা ।
আমার মৃগীর,পাংশার মাটি
চর পাতুরিয়ার ভূমি,
মতিঝিলের দক্ষিণা বাতাস
জাগ্রত দেখতে চাই,
আমার অন্তরের স্পর্শ সত্ত্বায় ।
আমি আমাকে দেখতে চাই
মতিঝিল কলোনীর পুরানো বাসস্হানে
পীর-জঙ্গী মাজারের মসজিদের পাশে
পল্টন ময়দানের্ দূর্বার আস্তরনে
ভাসানীর খামোস হুংকারে,
বঙ্গবন্ধুর সেই ডাক শুনি আজো আমি
রেসকোর্স ময়দানে পুকুরের পাড়ে,
কি দূর্বার গতিবেগ কি অমর স্বাধীন স্পৃহা
ঢাকার রাজপথে যেন আজো চলে
একাত্তরের জনতার সাথে,
আমার জীবনেও যেন,
আজও তার স্ফুলিঙ্গ বেঁচে আছে ।
মৃত্যু সাগর তীরে আজও খোঁজে অমরতা,
এদেশের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা ।
শত শহীদের রক্ত আজও যেন স্রোতধারায়
বয়ে চলে বুড়িগঙ্গা, পদ্মা মেঘনায়,
শত শত বধ্যভূমিতে
লক্ষ শহীদের রক্ত অস্হি মজ্জা দেহ
আজও মিশে আছে এই দেশে ।
এদেশকে কখনও যেন না ভুলি
এদেশের লাল সবুজ পতাকা উদ্ধত
চিরদিন থাকে যেন উন্নত আকাশে ।
জীবন্ত উল্কার মত আমাদের সত্ত্বা যেন
ক্ষণকাল স্হায়ী হলেও চমকায় আকাশ ।
আমি চাই এদেশের মানব সন্তান
এসেছে আর আসবে যারা
চিরকাল সত্যনিষ্ট সত্যাশ্রয়ী থাকে যেন তারা ।
উল্কার ফসিল যেমন হারিয়ে যায়
ক্ষণকাল আলো দিয়ে বিজলী চমকে,
তেমনি জন্ম নিক নিঃস্বার্থ মানুষ
বাংলা মায়ের বুকে
এ আমার কামনা,প্রার্থনা ।