হে পিতা তোমার বার্ধক্যে ,
    বার্ধক্যের শেষ সময়ে
যখন তোমার অনুভূতিগুলো
ভোঁতা হয়ে যাচ্ছিল একেএকে ।
নড় বড়ে হয়ে যাচ্ছিল
    তোমার অস্হিগুলো ।
পায়ের উপর শরীর ,
    শরীরের উপর মাথা
তাল সামলাতে পারছিল না ।
তখন, এক কদমা পা ফেলতে
    লক্ষ কদমের কষ্ট,
তখন আমি পাশে যেয়ে
    তোমার হাত ধরতে পারিনি ।
কী দুর্ভাগ্যবান আমি !
যে শিশু থেকে তোমার মৃত্যু পর্যন্ত
যেন এক ষড়যন্ত্রের শিকার ;
সে ষড়যন্ত্রকারী কে ? সৃষ্টিকর্তা  
    না কোন মানুষ ,না দুর্ভাগ্য ।
বাবা ,আজি আমার এ বার্ধক্যে
আমি বেশী বেশী অনুভব করি
    তোমার অন্তিম সময়ের কথা ।
তোমার চারপাশে যারা ছিল
    তারা কেউ জানায়নি,
    তোমার অসুস্হতার কথা ।
তারা আমাকে খবর দিল
যখন তুমি কবরে ,মৃত্তিকাগর্ভে ।
আমি যখন এলাম,
তখন তোমার খাট
তোমার বিছানা,তোমার ঘর
সব শূণ্য,
বাতাসের আর্ত হাহাকার তখন যেন
আমাকে ধিক্কার দিচ্ছিল
আমার মনে হচ্ছিল,
তোমার অন্তিম দৃষ্টি
তখনও যেন আমাকে খুঁজে ফিরছিল
আমি দেখতে পাই,
আবশেষে অন্তিম হতাশায়
তোমার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল
এক বিন্দু গরম অশ্রু,
তারপর মাথাটা গড়িয়ে গেলো একপাশে ।
পিতা আমি তোমার অধম সন্তান
    দুর্ভাগ্যবান সন্তান ।
আজকে আমার এ বার্ধক্যে
তোমার বার্ধক্য কাল আমার সম্মুখে,
পিতা তোমাকে আমি অনুভব করি,
ভালোবাসি, কিন্তু কোথা তুমি
আমার কান্না , আমার অশ্রু
আমার হৃদয়ের আর্তনাদ কি
     তোমার কাছে পৌঁছে  ?
পিতা অধম সন্তানকে ক্ষমা করো,
দু’টি হাত তুলে তোমার মাগফেরাত চাই
তুমি ভাল থাক, অনন্তের দেশে ।