দহন


আমি তোমার বক্ষে ছুড়ে মারি
বিষাক্ত তীরের ফলা।
ক্লেদাক্ত জীবনের গহীন গহনে
অব্যার্থ ব্যাধের তীক্ষ্ন নিশানায়
আমি উপড়ে ফেলি কায়েমি শোষোন আর
নিষ্ঠুর নির্মম ধিকি ধিকি জ্বালা।


অবিরাম ঝরেছে যাদের চোখের জল
নিমিষে হারিয়ে যায় যে সব তাজা প্রান
তারাও মানুষ হে নির্বোধ নেমকহারাম বেসামাল।


বিদগ্ধ আত্মার জ্লন্ত কলিজা
নিস্পেষিত মানুষের সকরুণ আর্তনাদ
শোকার্ত কোটি মানুষের হৃদয়ের কান্না
শুনতে কি পাও হে নিষ্ঠুর বেয়াকুব পঙ্গপাল।


যারা মৃত্যুর জন্য গুনছে প্রহর
যাদের বুকের তাজা লাল রক্তে
তুমি গড়েছ তোমার পৃথিবী।
ফেরাও চেতনা জ্বালো আলোর মিছিল
নইলে অচিরেই দেখবে তুমি তোমার বধ্যভূমি।


ঘরের কোনে জমান সীমাহীন কষ্ট
কি নির্মম যন্ত্রনা আকন্ঠ আবিষ্ট।
মুক্তির সেই চীর চেনা চিৎকার
একবারও কি হৃদয় তোমার ওঠে না জেগে
যাপিত জীবনের করুন ক্রন্দন আর
নির্বাক পৃথিবী নিধন হাহাকার ?


আমি দেখতে চাই মানুষের সভ্যতা
যেখানে রুদ্ধ হয়েছে জুলুম আর হীন স্বার্থপরতা।
আমি থাকতে চাই তাদের পাশে
যেখানে ঝরানো বুকের রক্ত কনিকা
বার বার আর উঠবে না কেঁপে।


আমিও মানুষ তুমিও মানুষ
কখনও কোন মোহে হইবে না বেহুঁশ।
এই শপথ হোক তবে মানুষের আঙিনায়
জীবন শান্তির, জীবন আনন্দের
জীবন সত্যি গড়ে তোল অনাবিল মহিমায়।