পাগল


আমি পাগল
বিপ্লবী পতাকা হাতে বন্ধুর বিক্ষিপ্ত পথে
বিবেকহীন আত্মার অন্তর লোকে
লেলিহান শিখা মরুময় পথে
কারারুদ্ধ মানুষ সমাজ সংসার
চলছে দিবানিশি অনন্ত কাল ধরে।


অমৃত বানী নাহি ঝরে কন্ঠে
প্রতিবাদের রুপ রস গন্ধ আবেশে।
সভ্য পৃথিবী নির্বিকার চিত্তে
নির্লজ্জ নিঃসংকোচে আপন খেয়ালে
মেনে নিয়েছে মানুষ যুগ যুগ ধরে।


নিরস চোখে নিশ্চিহ্ন জলে
মুদিত নয়ন কৃষ্ণন তপোবনে
আমি দেখেছি কত প্রলয় মহা সিন্ধু তীরে
বুভুক্ষ মানুষ কংকাল সম হৃদপিন্ডের
করুন মানবতার নির্মম আর্ত চিৎকারে।


আমি পাগল
অন্তঃসার শুন্য প্রলাপ বকি
সূধী আত্মার সিদ্ধ ভুবনে।
মহাত্মার নমস্য অলংকৃত সোপান
প্রনাম পদমুলে কৃপাভরে।


গভীর জনসমুদ্র উদ্বেলিত আওয়াজ
নিবেদিত প্রান তব অকুতভয়
রন্দ্রে রন্দ্রে রঞ্জিত রক্ত
টগবগে ফুটছে উষ্ণ তরঙ্গে।
পুড়ছে মানুষ নাচছে হিয়া
জীবন সমুদ্রের অথৈ জ্বলে।


অবিচারের হিমালয় বিন্যাস্ত পাদদেশে
গভীর রক্ত কুপ হিমেল হিমাদ্রি কৃষ্ণ গহভ্বরে।
পঞ্চবটী মুলে জপি ঈশ্বর জপমালা
চাহি মুক্তি চাহি পরিত্রাণ ঘুচে যাক নৈরাজ্য
দেব অঞ্জলি দেব গুরু দক্ষিনা হাতে পুস্পমালা।


আমি পাগল
চাইনি সমাধান কেবল নিধন যজ্ঞে
পাষাণের বেদী ভস্মীভূত করে।
ভ্রমর কুঞ্জনে কুহলিকা সরোবর
আতষী দেবীর প্রতুষ্য আচারন
স্রোতস্বিনী সত্যের নিপুন আলোড়নে
কাম্য সমাধান মোর আলোর মিছিলে।


আমি পাগল
বিভিষিকা রুদ্র দোর উম্মুক্ত করেছি বিপুল বিক্রম।
প্রচন্ড বিজলির আনবিক বিস্ফোরোন
আমার হাতের মুঠোয় তালু বন্দি নির্ভয় অনির্বাণ
আমি মুক্তি চাই মানুষের মুক্তি চাই পৃথিবীর
শান্তির দুয়ারে দাঁড়িয়ে আমি গাই সাম্যের গান।
প্রতিবাদ চাই প্রতিবাদ হে মহা জনতা
জীবন যুদ্ধে তুমিই সৈনিক তুমি মহা মহীয়ান।