ধুলিমাখা পথে পড়ে থাকা, বিবর্ণ এক টুকরো রুটি।
কেউ ছুঁয়েছে, হয়তো ক্ষুধার্ত হাত, তাড়াহুড়োয় ফেলেছে।
অথবা, কোনো উদাসীন পথের ধারে, উদ্দেশ্যহীনভাবে বিশ্রাম নিচ্ছে।

দিনের আলো ক্রমশ বাড়ছে, রুটির শুকনো শরীরে পড়ছে উষ্ণতা।
কয়েকটি পিঁপড়ে, ছোট ছোট সৈনিকের মতো, আবিষ্কারের আনন্দে এগিয়ে আসে।
তাদের স্পর্শে সামান্য নড়ে ওঠে রুটির কঠিন শরীর।

দূরে শোনা যায় গাড়ির শব্দ, মানুষের কোলাহল।
এই রুটি সেই সব শব্দের বাইরে, নিজের নীরব জগতে স্থির।
হয়তো কোনো পাখির ঠোঁটের স্পর্শের অপেক্ষায় আছে,
অথবা ধুলোর স্তরে মিশে যাওয়ার নীরব ইচ্ছায়।

এক টুকরো রুটি, যেন ফেলে আসা দিনের গল্প,
না বলা অনেক কথা তার স্তরে স্তরে জমা।
ক্ষুধার্ত চোখের নীরব প্রশ্ন, অপচয়ের দীর্ঘশ্বাস,
কিংবা হয়তো, শুধু বেঁচে থাকার এক নীরব অঙ্গীকার।

রাতের অন্ধকারে, শিশিরের স্পর্শে ভিজে উঠবে তার শরীর,
ভোরের আলোয় আবার জেগে উঠবে তার শুকনো অস্তিত্ব।
এক টুকরো রুটি, জীবনের এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি,
যা হয়তো একদিন বিলীন হয়ে যাবে, কিন্তু রেখে যাবে তার নীরব সাক্ষ্য।