তপ্ত বাতাস বহে, যেন অগ্নির শ্বাস,
প্রখর রৌদ্র তেজে, কাঁপে ধরণীর ঘাস।
রাস্তার পিচ জ্বলে, ধোঁয়া ওঠে আঁকাবাঁকা,
ছায়া খোঁজে ক্লান্ত পথিক, পথ হয় বাঁকা।

পুকুরের জল শুকায়, তৃষ্ণার্ত কাক কাঁদে,
গাছের পাতারাও যেন ঝিমিয়ে পড়ে বিষাদে।
ঘরের ভেতরেও শান্তি নাহি মেলে আর,
ঘামে ভেজা শরীর, হাঁপায় বারবার।

পাখা ঘোরে ধীরে, বাতাস তো নাহি বয়,
একটু শীতলতার আশায় মন শুধু রয়।
বরফের কুচি যেন অমৃতের ধারা,
এই ভ্যাপসা গরমে, আর কিছু নাহি সারা।

তবুও জীবন চলে, আপন খেয়ালে বাঁধা,
কষ্টের এই দিনেও, স্বপ্ন দেখে আঁধা।
হয়তো শ্রাবণের ধারা, জুড়াবে সকল তাপ,
তখন আবার ফুটবে, নতুন করে গোলাপ।