নীরব কবি বসিয়া আছেন চেয়ারখানি পেতে
মুন্ডা মিঠাই একসারি তার ভাতের কাছে আছে।
চারপাশে তার লোকে থই থই,গুমোট চারিধার
সবাই বলে “আমার প্রিয়,একি অনাচার”!!


“চচ্চড়ি আর বেগুন ভাজা দেব একটু খানি?
দেব নাকি মাছের মুড়া আরেকবার আনি”?
“শুনছো, আরেকটুকু  চাটনি আনো তুমি,
এই টুকুতে ফুরিয়ে গেল? বিপদ বাড়াও দেখি”!!


“শুনছো,কবি আমার ছেলে বড় কবিতা লিখে
দেশ বিদেশে লেখা সবাই একেই দেখে শিখে”।
“এই যে মাধু!এই সোনা! এই যে আমার কোনা!
লেখার মতো লেখা তুই কবিকে এক শোনা”!!


“সেই যে তুই একা একা ঘরের মধ্যে বলিস
সেই কবিতা কবির কাছে আশীষ করে রাখিস”।
  মাধু তখন চোখ কুঁচকে কবির দিকে চায়
“কবিতাটা কবির লেখা আমায় কেন পায়”!!
   “আরে তুই গন্ড মূর্খ,করিস নে তুই ভয়
এই সুযোগে কবিতা বলে কবিরে করিস জয়”।


“আমের ফলে ভর্তি আছে কবির ঘরের কোন
তাইতো তোমার লেখায় দেখি ফলের বিবরণ”!!
   “আমাদের বাড়ি তুমি এসো সময় পেলে
  এইখানে কি কবিতা হয় এমন গরম হলে”!!
“সিলিং ফ্যান আর এসিতে ভর্তি আমার বাড়ি।
সেখানেতোমায় দেখিয়ে দেব কেমনকবিতা পড়ি”!!

এদিকে তার পাতের ওপর খাবার আছে পাতা
  সম্মুখে সব রয়েছে বসে লয়ে হিসাব খাতা!
   কোন জিনিসে কতটুকু কবি হাত দিলে
পরদিন যেন সবাই  জানে খবর কাগজ পড়ে!


     যে খাবারে হাত দেন সবাই শুধু চায়
  নীরব হয়ে কবি শুধু আড় চোখে তাকায়।
    সম্মেলন অনেকদূরে কি হবে তা দিয়ে!
“এই সুযোগে নিলাম হবো কলমআঁচড়ে”!