[গযলের আঙ্গিক- মাতলা, মাকতা, কাফিয়া, রাদিফ, বেড়- মেনে লেখা কবিতা]


পাঁজরে ঘষে পাঁজর উঠবে কি সে ঝংকার কবিতার?
হামছৈল ফাঁকতালে পাঠক হবে কে কার কবিতার?


তার জন্য তুলে রেখেছি ধন, যেদিন আমি থাকবো না
যদি কোন কাজে লাগে কানাকড়ি-অলংকার কবিতার


রাশি রাশি ছুঁড়ে দিতাম শব্দমালা তার দিকে
থাকতো যদি পাঁজরতলে এক বাংকার কবিতার


ইদানীং ভদ্র সভায় তপ্ত দা’দ দেয় না কেউ
যেটুকু আমার পাওনা সেই তিরস্কার কবিতার


ছেঁড়া স্যান্ডাল, হেঁটে এসেছি পা-ফাটা কবি আব্দুল
এবার তোপ-ধ্বনি হবে মরণোত্তর কার কবিতার?


মন ভেঙোনা, আউলা চুলো আসবো ডাকলে ইঙ্গিতে
এই তো এসেছি প্রতিনিধি হয়ে আমার বেকার কবিতার


সোপর্দ করেছি প্রাণ আমি যাকে দুখের প্রতিমূল্যে
পাঠক হতে যায় কেন সেই ব্যথাকার, কবিতার?


তারো না-কি চলছে মনে যখন-তখন অহাটা-বার?
সে ব্যথার উৎস কোথায়? বলো, সে ব্যথা কার কবিতার?


প্রেমে হয় ফরহাদ লোক, অর্থ কি শিরিঁ, হে মনসুর?
হতে পারলে মন্দ হয়না এক রাজাকার কবিতার!