ধরণী অবলোকনের মত্ত নেশায় খুজেঁছি মাতৃগর্ভ
সবাই বলে “মানুষ আমি”- এটায় আমার গর্ব!
পেয়ে গেছি স্বাদ জন্ম-জন্মান্তরের, জন্তু জানোয়ার নহে;
তবুও আচরিত চলন বলনে অমনুষত্বের ছাপ রহে।


আমাতেই ব্যাকুল মনোহরি হৃদয়,ভুলিয়া গিয়েছি লাজ
হিরা-চুরি-পান্না যে নামেই ডাকো ভুল পথেই চলি আজ।
ঈশ্বর, খোদাঁ, আল্লাহকে খুজিঁ মন্দির মসজিদে গিয়ে,
কখনো আমি নিজেকে খুজেঁনি অন্তরের কালিমা দিয়ে।


বাতাস,বায়ু,অম্লজানে চলে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস
মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি উঠে গেছে বিশ্বাস।
সবাই খোজেঁ একটুখানি সবুজ শ্যামল ছায়া
ইসস.! ধংসের আগে থাকতো যদি গাছের প্রতি মায়া।


ঈষৎ দিবা.. ঈষৎ রাত.. চাঁদ-সূর্যের ফারাক
অথচ সকল মানুষের একই স্বপ্ন- “আলাদিনের চ্যারাগ”
পত্নি,কিংবা পতিতা বলি সেও তো একজন নারী
ভোগ নয় ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করতে পারি।


ঝরাপাতার মতো পাতা ঝরে ঝরে ফুরিয়ে যাচ্ছে দিন
হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা আর ভালোবাসার প্রতি ঋণ।
জন্ম থেকেই খুজেঁছি সুখ, খুজেঁছি আদর- স্নেহ
জন্মিলে যে মরিতে হয় ভাবিনা একবারও কেহ।