ভোর হতো পাখি ডাকত আলো ফুটতো ,ডাকত মা
সকাল হয়েছে বাবা পড়তে  মাদ্রাসায় যা।
মার্বেল, এক্কা-দোক্কা কানামাছি খেলেছি উঠোনে
ফুল, ফড়িং ও মৌমাছির পিছু ছুটতাম ফুলবনে।


বৌচি,গোল্লাছুট, ছি-বুড়ি,পান্তাভাত খেলেছি মাঠে
গোসলের সময় ছুয়া ছুঁয়া খেলেছি নদীর ঘাটে।
সাতার কেটে কেটে  চক্ষু করেছি লাল
মা বকেছে সোহাগ ভরে আলিঙ্গনে দিয়েছে গা'ল।


লুকালুকি খেলেছি চোর পুলিশের সুত্র ধরে ,
জোনাকী ধরেছি রাতের অন্ধকারে!
জোনাকির আলো লাগিত ভালো কাছের বোতলে
সন্ধ্যায় গরম পরত খুব বাসাতে গিয়ে দিতাম ডুব
খালি গায়ে রাস্তায় হাঁটতাম এই মতলবে।


চাঁদের পিঠে এঁকেছি ছবি দূরে দাড়িয়ে থাকা নারিকেল গাছটার উপরে।
ঝুলি ভরা রূপকথার প্রহরে ,
সন্ধ্যা আড্ডায় হতাম উদাসী।
টং পাড়ে দিঘীর জলে চাঁদের নাচন
বাড়ির ধারে পুকুর পাড়ে নানান ফুলের হাসি !
স্নেহে ভেজা বিড়াল আমি মায়ায় বাধা মা'য়ের আস্তিনে,
ঘুরেছি গাছের ডালে পাখির বাচ্চার সন্ধানে !


ঢিল ছুড়ে পেরেছি কাচা-পাকা আম,
পশ্চিমা বাতাস এলে কুড়াইতাম বড়ই আর জাম।
করমচার নুনে মেখেছি ঠোট,
বন্ধু বন্ধন হয়ে একজোট।
কয়লা ঘসেছি ফোঁকলা দাতে,
বরশীতে ধরেছি মাছ
আনন্দ উল্লাসের সাথে !


পুকুরে ভেসেছি কাপড়ে বাতাস ভরে
বৃষ্টিতে আবীর মেখেছি মনে।
শয়নে কৃপন সম জাগরণে প্রাণ,
ছুটেছি আইস্ক্রিম ও কটকটি ওয়ালার পিছনে !


গ্রীষ্মের খরতাপে খেয়েছি দইয়ের ঘোল
শাপলা গলে শালুক হাতে
পিঁড়ি বেঁধে রশিতে খেয়েছি দোল !
শীতের মৃদু রৌদ্র তাপে রাস্তার ধারে বসে
মুড়ি খই মাখা খেয়েছি খেজুর রসে।


হেটেছি গাঁয়ের পথে সবুজ ঘাসে
ঝয়েছে শিশির যেখানে পরিত পায়ের ছাপ।
খড়কুটা জ্বালিয়ে গোল হয়ে বসিয়ে পোহাতাম তাপ,
মা ডাকিত বেলা হয়েছে খেতে আয় বাপ।
  


আমি যেন আমার ছিলাম না কভূ
শৈশব কেটেছে আমার এমনি করে ,
কলা গাছের ভেলায় ঘুমিয়েছি
বকুল শিউলী প্রেমে উঠেছি ভোরে ।