সবচেয়ে কাছের ‘কেউ’ হবার কথা ছিল যার
তার অবস্থান এখন বলয়ের বাইরে।
তার পৃথিবীতে এখন আমি বাদে
যে কারও বসবাস।
দিনের আলোয় মিলিয়ে যাওয়া জোনাকির মত
হয়তো তার স্মৃতি থেকেও মিলিয়ে গেছি আমি,
মিলিয়ে গেছে আমার অস্তিত্ব।
তাইতো অজানাই থেকে গেছে হাজারো উত্তর,
যেগুলো কেবল ফিরে আসে নিজের প্রতিধ্বনি হয়ে।
ঐকান্তিক এই ভালবাসায়
জমেছে ধুলো, পরেছে মরিচা।
তাই শুধু আমি কালিমা লিপ্ত হই,
সে থাকে পবিত্র।
যে নামে এখনও মনে জাগে শিহরণ,
হৃদ কম্পন বেড়ে যায় যে কল্পনায়;
সেই ‘সম্পর্কহীন’ মানুষটার
ভাবনার তলানিতেও হয়তো নেই আমি।
এ প্রেম যেন নিতান্ত তুচ্ছ ভাবে-
এড়িয়ে যাওয়া রাস্তার কুকুরের মত;
যার ঠাই সভ্য সমাজের বাইরে।


এর জন্যই কি জমিয়ে রাখা এত আবেগ?
সভ্যতার আড়ালে মুখ লুকিয়ে
এর জন্যই কি ডুকরে উঠা?
যদি ভালবাসা স্বর্গীয় হয়
তবে কেন এত অবহেলা?
কেন যতসব মিথ্যে আশ্বাসে গড়ে তোলা
প্রেম নামক ‘তাসের প্রাসাদ’?


ভালবাসতে যদি না পারো তবে
ঘৃণা করতে শেখাও।
যদি ফিরে আসতে না পারো
তাহলে হয় মৃত্যু দাও অথবা মৃত্যুবরণ কর।
পরাজিত সত্ত্বার অপঘাত স্বাভাবিক।