কখনো তুই ফুল দেখিস ঘাড় বাঁকিয়ে,
তাকিয়ে থাকি আমি অন্য সকলের চেয়ে
গ্রীবা উঁচু করে। বিস্ময়ভরা ব্যাকুল সে দৃষ্টি
থাকুক তোর যত তাচ্ছিল্য অবহেলার বৃষ্টি।
আমার কি সাধ্যি তোকে ছেড়ে যাই এখন
তুইই তো জানিস, এ হবে না কখন।


তোর কেমন যেন একটা নিস্পলক হাসি-
তোরই আছে রে, অন্য সকলেরটা বাসি।
জগতের সব আলো নিয়েছিস তোর দখলে
যা দিয়েছিস ধরণীতে, ততটুকুই শুধু জ্বলে।


তুই বলেছিলি, তোর আকাশ হব কিনা?
সত্যি করে বলছি - আমি জানি না,
তুই আমার আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিশিদিন
জানি না একি আকাশ, না মাটি সুকঠিন।


তোর ঐ চাহনিতে কী যেন আছে
অহর্নিশ চেয়ে থাকি, তৃষ্ণা না গেছে।
আমার কি সাধ্যি তোকে ছেড়ে যাই এখন
তুই তো জানিস, এ হবে না কখন।
তবুও সব ফুল পায়ে দ’লে উড়ছিলি তার সনে
আহারে! ধরণী-ধপাস সবচেয়ে মধুক্ষণে।
আমিতো বলেছি, যাসনে ঐ যুবকের সাথে
সাত জনমের ভালবাসা কেমনে মিলবে তাতে!