বাজান তুই আজানু ক্ষতবিক্ষত করে দিলি
বাজান তুই গহীন নোনাজলে ফেলে দিলি
কষ্ট-সাগরে ডুবি আমি
দৃষ্টি-ভুবনে তোরি যামি
বাজান তুই সুপ্ত আরণ্যক বানিয়ে দিলি
সিডার গাছের মিষ্ট রসে কেমনে মিলি?


বাজান তুই মহাশশ্মান বানিয়ে দিলি
বাজান তুই কামরুপ কামেক্ষায় নিলি
বন্ধ-খোলা চোখে দেখি
নগ্ন-ঢাকা দু’য়ে মেলি
বাজান তুই নিঃস্ব হাহাকার উঠিয়ে দিলি
শূন্যতায় ভরে দিয়ে সব, সব নিয়ে গেলি।


বাজান তুই বাংলা ভাষা ভুলিয়ে দিলি
বাজান তুই কাব্য লিখতে না দিলি
কথার হিন্দোল কানে
সুরের বিহ্বল তানে
বাজান তুই ল্যাপটপ বন্ধ করে দিলি
আনাড়ী হাতের নিশপিশও নিয়ে নিলি।


বাজান তুই মুঠোফোনে হারিয়ে গেলি
বাজান তুই ইথারে কোথায় ভেসে গেলি
বাতাস পানে চাই
সুন্দর মুখটি নাই
বাজান তুই অনিন্দ্য-বোধকেও নিয়ে গেলি
তোকে খুঁজে ফিরি, দু’চোখে তৃষ্ণা মেলি।


বাজান তুই হলুদ পাতা দেখতে না দিলি
বাজান তুই পাতা কুড়ানি হতে না দিলি
আগুন রঙা পাতায়
ফাগুন আঁকা সেথায়
বাজান তুই আগুনে-ফাগুন হতে না দিলি
ভরা হেমন্তের হলুদ বনে দীর্ঘশ্বাসের হোলি।