বর্ষবরণে লাল পাঞ্জাবী গায়ে আজ রমনা বটমূলে যাইনি
বাদল দিনের প্রখম স্নাত-কদমগুচ্ছ হাতে নিয়েও আসিনি।
আজতো ফাল্গুনের হলুদাভ ক্ষণও না
আজ সত্যিই কোন গান হবে না গীতাঞ্জলীর পাতা থেকে
উৎসবের ঘনঘটা না, জাতিসংঘ-ঘোষিত বিশেষ দিনও না।


শ্রাবণের ভাসিয়ে নেয়া প্রবল বর্ষণ আজ নেই
বসন্তের পাগলকরা রঙ্গিন ফুলও কোথাও নেই,
কোন সলাজ নববধূ দীর্ঘ-ঘোমটা খুলবে না আজ
শুধু বহুল প্রতীক্ষিত মুহূর্তের একটু মৃদু ঝাঁঝ।
তিন শব্দের বাক্যটা বলতে, আমার ঠোট ইষৎ কাঁপবে
তবুও যে আমাকে বলতে হবে - ভালবাসি
হৃদয়ের গহীণ কোণ থেকে দৃঢ় উত্থিত - তোমাকেই ভালবাসি।


গ্রীস্মের বিটুমিনগলা তীব্র দাবদাহ আজ নেই
তালপাকা গরমে অশ্বত্থতলে শীতলপাটিও নেই,
চান্নি পশরে শেষকণা কিরণ ছড়িয়ে, দেয়নি আজ চন্দ্র স্বর্বস্ব বিলিয়ে।
শরতের মৃদুমন্দ বাতাস বইছে না চারিদিকে
বৃক্ষপত্র পরে শীতের আগমনি বার্তা বলছে না ডেকে ডেকে,
শীতের পাখিরা বরফ মাড়িয়ে, মেলেনি ডানা সুদূর দক্ষিণ পেরিয়ে।


প্রেমিকেরা তেত্রিশটা গোলাপ নিয়ে বেরোয়নি ভালাবাসা দিবসে
একাত্তরের ভয়ংকর গণহত্যা স্মরণে কোন মানববন্ধন নেই বিবশে,
মহান শহীদদের ভালবেসে কোন স্মরণসভা দিবসও আজ না।
শুধুই বলতে এসেছি আজ, মহাকালের পুরোনো কথাটি আবার নতুন করে
তোমার অন্তরদীঘি ভরে ফেলতে, তিন শব্দের বাক্যটি ছাড়া অন্য কিছু কি পারে?
তোমাকেই ভালবাসি - এটা নাইন-ইলেভেনের চেয়েও বড় সত্যি।
হৃদয়সিন্ধুর সবচেয়ে অচেনা প্রবাল-প্রাচীর থেকেও দৃঢ়-উত্থিত স্তুতি।