মীমাংসা হয়নি অযুত প্রশ্নের?
বিশ্বাব্রহ্মান্ডে খুঁজে পেতে অতিক্ষুদ্র্র পৃথিবী
তার চেয়েও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মনুষ্যের কত প্রশ্ন!
বলতে পার? পৃথিবী কার জন্যে ঘোরে?
স্থির কেন নয় কোন এক নির্দিষ্ট শূন্যতায়
আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি কেনই বা?
তুমি কি বলতে পার?


ফুল ফোটে কেন সকল সৌন্দর্য নিয়ে
চাঁদকে ধার করতে হয় সূর্য্যের আলো
তুষারে তীব্র জ্যোৎস্নায় মাঝরাতেও দিন
স্বল্প বসনা অর্ধনগ্ন কুৎসিত নবসভ্যরা
তুমি কি জান, আদিমে কেন ছিল অসভ্য?


তুমি বলনা আমায়-
সভ্যতার কথিত ক্রমোন্নতি কেন হয়?
মানুষ নতুন গান গায় সীমানা পেরিয়ে
স্বপ্ন দেখে বাস্তবের উঠান মাড়িয়ে
কেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যকুলতা?


কে বলতে পারে নির্দিষ্ট করে-
ভূত্বক কেন কতগুলো প্লেটে বিভক্ত?
তার উপরে বিছিয়ে দিল তিনভাগ জল?
সেখানে নদী কুলকুল শব্দে বয়
কেন? কোথাও থেমে না রয়।
কে বলেছে? সাগর যেন নীচু হয়।


তুমি কি বলতে পার?
বৃহৎ বিস্ফোরণ হল কেন সেই অতীতে?
উদর থেকে অকস্মাৎ উদ্গত হল
কেন অথৈ ইউনিভার্স তৈরী হল?
তুমি কেন বলছ সময় তখন থমকে ছিল
নেই কিছু তার আগে!


তুমি আমায় বল-
সহসাই তুমি-আমি কেন মরে যাব?
তুমি কি নিশ্চিত, মানুষ অদূর ভবিষ্যতে
অমরত্বের স্বাদ নিয়ে বাঁচবে অনন্তকাল।
বল না, এখনো কেন পারছে না?
পারছে না কেন জন্ম দিতে ইচ্ছেমত
আমার প্রেয়সীকে সুন্দরী বা কুৎসিত করে।


জানি না এমন কেন হয়-
রক্তে নেশার বান ডাকে নিশিদিন
পাখির গান, বাতাসের শব্দ ফিসফিস
তোমার নপুর-পড়া কোমল পা
ডুবে থাকে শুভ্র বরফ-কোলে।


তুমি কি বলতে পার?
হৃদপিন্ড কেন রক্ত ছড়ায় শরীরে?
আচ্ছা, বাদ দাও। বল আমায়
তোমাকে দেখলে কেন নীল সাগর ভাবি?
কাচের আয়না কথা শোনে না
মুখচ্ছবি বদলে ফেলে যথারীতি।


আমি জানি না সত্যিই-
সবের সৃষ্টিকর্তা কেউ আছেন কী না?
কুন ফাইয়াকুন বলে তিনি সৃষ্টি করে দিলেন।
অথবা নিশ্চিত নই কোনভাবেই
প্রকৃতি নামক খেয়াল আপনাপাপনি
বানালো সবকিছু নিয়ম বা অনিয়ম করে।


কেউ যদি আপন হস্তে জগৎ বানায় আনমনে
কারো তো কোন সমস্যা নেই তাতে
আর যদি জগৎস্রষ্টা না থাকে কোন
না খেলে বিশ্বলয়ে আপনসনে
বেশ, নাই থাকল।


বিশ্বাসী থাকুক তার মত প্রশ্নের অতীতে
অথবা প্রশ্ন করেই বিশ্বাস দৃঢ় করুক।
অবিশ্বাসী যিনি কোন সৃষ্টিকর্তার
ভাবেন প্রকৃতিই সব সুর-ছন্দ-লয়ের মাতা
হোক না তারা পাশাপাশি বয়ে চলা নদী
মিলে-মিশে থাকা সুন্দর কোন বনের ছবি।