জলার সীমানা ধরে
নদীর কিনারা ভরে
খাদের মিথিলা ফুঁড়ে
বনের আঁচলা ভেদে উর্দ্ধশ্বাসে
হাঁটছে নিযুত মনুষ্য রুদ্ধশ্বাসে,
কাঁখে শিশু, দৃষ্টি দূরপানে ধাবমান
পিছনে রেখে ভয়ংকর মৃত্যুর বান।


উর্দি-গায়ে নিষ্ঠুর নরপিশাচ
গেরুয়া বা গেরুয়াহীন উগ্রবাদী খুনী
শান্তির প্রলেপ দেয়া অশান্তির রানী,
আগুন আর বারুদ নিয়ে করেছে ভিটেহারা
যুগ যুগ ধরে শায়িত গৃহে ওরা স্বপ্নহারা।


প্রকৃতির বিভাজন তৈরী করা নেই কোন
বিষুবরেখার মত কল্পলোকের দাগ শুধু
তবু জানে তারা ঐ দূরে খাল বা নদীর মত
উপসাগরের উপকূলের কাছাকাছি ঠাঁই মত
পার হতে হবে হেঁটে-সাঁতরে-নৌকায়
থাকুক যত দূর্যোগ ঝড়ঝঞ্জা ডাঙ্গায়।


বিবেকহীন বিশ্বনেতারা গোঁফে তা দেয়
কপালে তীলক আঁকা কষাই পিঠ চাপড়ায়,
ধর্ম দেখিয়ে দেয় মানবতা বড়ই কৃত্রিম
জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত লাশের ডুব সাঁতারে বিলীন
সাগরের উত্তালে, গেরুয়ার আঁচলে গহিন।
বেঁচে থাকার মিছিলে লাশসম অগণিত মানব
এখানে-ওখানে ঠিকানাহীন জান্তব।