নামটা যারপরনাই কুৎসিত
বাকী সব রূপনে তুলনারহিত।
পদ্মা মেঘনা সুরমা কুশিয়ারা
কেমন নাম? কাব্য-পাগলপারা!
আড়িয়াল খাঁ? ধুর! খটমটে, পাজির পা ঝাড়া।
সে’নদের পশ্চিম তীরেই শহর মাদারীপুর-
পাচিল-ঘেরা বাড়ি, ছোট্ট মাঠের নাড়ী
কতদিন থেকে আড়ি?


নিত্য-বিকেলে বাসুদেবের মাখন চাখা
কলাপাতায় পেঁচিয়ে মোড়া - চিনি আধা।
নতুন শহর, কলেজ রোড ছিল সাকিন
পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালটি কী মলিন!
জোয়ারে? আরে! ভেঙেচুড়ে, স্রোতস্বিনী নবীন।
সে’রাস্তার মেরামত চলছিল দিনমান-  
শ্রমিকের গায়ের গন্ধ, অ্যাসফল্টে নাক বন্ধ
ঘটিগরমের স্বাদে অন্ধ।


ক্রিকেট তখন ধর্মে রূপান্তর
দিনভর রান নেয়া প্রাণান্তর।
স্কুল-ফেরত দস্যিরা ডাঙ্গুলী, চোর-পুলিশ
সিগারেটের প্যাকেট মুঠোভরে চাড়া খেলিস!
খেলবোনা? কী বলিস! যাবই, কে শোনে নালিশ।
ছোট্ট মনের সবটুকু সুখ তখন ঐ মাঠে-
শৈশব খেলেই গেল, যৌবন জোয়ার পেল
কিন্তু সুখটুকু ফুরিয়ে এল।


আচমকা কালের হেচকা টানে ছিটকে
এসে পড়েছি দূরে কোথাও আটকে।
গোটা ক্যানভাসে আঁকা সেই সব ঘটনা
ইথারে ছেড়ে দিয়েছি কত কথা, রটনা!
মনে আছে? আশ্চর্য! পরিস্কার, সাক্ষাৎ কোটনা।
নদী-সাগর-মহাসাগর দূরত্বে বসে সহসা-
বিমর্ষে ভাবি এভাবে, কোন একদিন অভাবে
আড়িয়াল খাঁ আমায় কাঁদাবে!