অনুভূতিটা ঠিক টের পাচ্ছি, হৃদয়ের অন্তস্থল মাঝে
আমিতো সন্ন্যাসি নই, লুকাই কীভাবে তা সহজে।
লক্ষী-স্বরস্বতী একসাথে মেলে না কখনো আমার
এবার লক্ষী যদি ধরা দেয়, দিব্যি দিচ্ছি তোমার
গড়ে নেব পিরামিডসম এক অট্টালিকা - নির্দিধায়
যেন তা বাঁধবে তোমায়-আমায় আর ভালবাসায়।


হে বিধাতা, আমাকে নজরুল বা রবী করে দিন
অথবা একঢোক সোমা। বিথোভেন যেন আজীবন,
তোমাকে ছোঁয়ার চেষ্টায় অতিসামান্য এই সুরতারা
দেবার আর কিছু নেই আমার, শুধু গানটুকুই ছাড়া।


নূর হোসেন চত্বরে দাঁড়িয়ে গাইবে তেজস্বী কণ্ঠে
সাধারণ গানটিও অসাধারণ তোমার সুরেলা কণ্ঠে
তুমি কি হাসবে আমার লেখা শব্দগুচ্ছ দেখে?
হেসো না, কী যে খুশী এখন তোমার কন্ঠ মেখে!
আমি তাজমহল ছুঁয়ে বলছি বা শিশিরবিন্দু ছুঁয়েও
ঐ দ্যোতনা শুধু তোমারই আছে, নেই আর কারেও।


ভাবছিলাম দেয়ালের উপর বসে নিবিষ্ট মনে তোমাকেই
গানের ছত্রগুলো আসছিল একটার পর একটা সহসাই,
প্রকৃতি সেজেছিল নতুনের আগমনি বার্তায় নিয়ে হাসি
গানেই বলেছি সুরে-ছন্দে মেতে - তোমাকেই ভালবাসি।