রাতের আকাশ জুড়ে তখন দুধের খেলা
হৃদয়ের আবাস ভরে তাঁর তৃষ্ণার মেলা।
যুবক ক্ষণে ভুলে মনে, ধন-দৌলত ক্ষমতা
বাহির পানে চলে বনে, জরা-মুক্তির মমতা।


নির্জন পাহাড়ে আসন গুহার মধ্যিখানে
অনন্ত জিজ্ঞাসে মগন প্রশ্নের বেড়াজালে।
দু’চোখ তাঁর মুদে রয়, নিথর পুরো শরীর
প্রশ্নের পর প্রশ্ন বয়, উত্তর খোঁজে অধীর।


রাতের আধার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়ত হয়
ধ্যানের প্রভাব মর্ত থেকে স্বর্গমুখী রয়।
লক্ষ ডানায় ভরে উজ্জ্বলতা, স্বর্গপাখি আসে
সূর্য্য ভরায় তাঁকে আচমকা, দৃশ্যসুখে ভাসে।


উদ্ভাসিত আলোর নাচন খেলা প্রদীপ্ত মুখে
জগতের সব জ্ঞান আর বুদ্ধি ঐ দু’চোখে।
সব মুগ্ধ বিস্ময়ে রুদ্ধ, দেখে দেবজ্যোতি
অসীম ভক্তি বাড়ায় শক্তি, ঊর্ধ্ব মননদ্যুতি।


মমতা বুকে হেঁটে যায় মহামানব যতদূর
বারতা বয়ে এনেছে ছড়িয়ে দিবে রোদ্দুর।
পবিত্র ছোঁয়া লাঘবে সব, দুঃখ-কষ্ট-ব্যথা
স্বর্গের আভা বইবে হেথা, তিনিই ত্রাতা।