সবকিছুতেই তুমি আছ-
আছ জোড়ে এবং বেজোড়ে
আছ সত্য এবং মিথ্যাতে
আছ সূর্য্যােদয়ে এবং সূর্যাস্তে।


মাঝামাঝি আর কিছু নেই
সমতা আনার প্রগল্ভতা নেই।
রাত্রিতে তুমি, দিনেও বিকশিত
আকাশে তুমি, পাতালেও বিচরিত।


তুমি কোন একটাতে বন্দী নও
না ভালতে, না মন্দতে
না আলোতে, না অন্ধকারে
না স্বপ্নে, না জাগরণে।


সবখানেই তোমার সমান অধিকার
মেরুতে আবার মরুতে
জলে আর স্থলে
পাহাড়ে কিম্বা সমতলে।


হাসি-কান্নার মাঝেও তুমি
সুখ-দুঃখের মাঝেও তুমি
আনন্দ-বেদনায় তুমি থাক
হর্ষ-বিষাদেও তুমি থাক।


হারেও তুমি, জিতেও তুমি
জীবনেও তুমি, মরণেও তুমি
সজ্ঞানেও তুমি, অজ্ঞানেও তুমি
হ্রস্বতেও তুমি, দীর্ঘতেও সেই তুমি।


সাফল্য-ব্যর্থতা দু’জায়গায়তেই তুমি
সসীম-অসীমে সমানভাবে আছ তুমি
স্বর্গ-নরক ভরে শুধুই তুমি
সাকার-নিরাকার সেও তুমি।


তুমি সকাল-বিকাল সবসময়
তুমি সবল-দূর্বল নিশ্চয়
তুমি সরল-কুটিল জীবনভর
তুমি সরব-নিরব বিস্ময়কর!


তুমি একাধারে শালীন এবং অশালীন
তুমি কতটা শারীরিক ততটা মানসিক
তুমি পরম শিষ্ট কিন্তু চরম অশিষ্ট
তুমি অপূর্ব শ্রী সাথে বিদঘুটে বিশ্রী।


শ্লীল তুমি আবার অশ্লীলও তুমি
রমনীয় তুমি আবার কুৎসিতও তুমি
লাজুক তুমি আবার নির্লজ্জও তুমি
যোগ্য তুমি আবার অযোগ্যও তুমি।


যেই তুমি মিলনে সেই তুমি বিরহেও
যেই তুমি মঙ্গলে সেই তুমি অমঙ্গলেও
যেই তুমি মূর্তে সেই তুমি বিমূর্তেও
যেই তুমি বাস্তবে সেই তুমি কল্পনায়ও।


তুমি ফাঁপা কিন্তু নিশ্ছিদ্র নিরেট
তুমি বন্দী কিন্তু সম্পূর্ণ মুক্ত
তুমি পাপী কিন্তু কোমল নিষ্পাপ
তুমি মুর্খ কিন্তু অগাধ পন্ডিত।


তুমি পূর্ণিমাতেও এবং অমাবশ্যাতেও
তুমি পূব্যাহ্নেও এবং অপরাহ্নেও
তুমি প্রশ্বাসেও এবং নিশ্বাসেও
তুমি প্রারম্ভেও এবং শেষেও।


নশ্বর-অবিনশ্বর সবই তুমি
নিকৃষ্ট-উৎকৃষ্ট পুরোটাই তুমি
ন্যায়-অন্যায় সমানভাবে তুমি
দুর্জন-সুজন সমস্তটাই তুমি।


জন্ম-মৃত্যু তোমার পদতলে
জোয়ার-ভাটা তোমার দখলে
ঘাত-প্রতিঘাত তুমি সামলাও
গদ্য-পদ্য তুমি নিত্য চালাও।