মধূসুদন বাংলা কাব্যে আধুনিকতার উদ্গাতা।তিনি
পাশ্চাত্য ভাবাদর্শে বাংলা কাব্যের বন্ধনমুক্ত করেন।নতু
নের স্পর্শে তাঁর কাব্য জীবন্ত।তিনি বাংলা সাহিত্যে ক্লা
সিক ভাবধারার প্রবর্তন করেন এবং তাঁর পরবর্তী হেম-
নবীন-কায়কোবাদ তাঁকে অনুসরণ করেন।কিন্তু মধূসুদ-
নের যে প্রতিভা ছিল তা তাঁদের হিলনা।ফলে ক্লাসিক
কাব্যধারা বিকাশ লাভ করতে পারেনি।মধূসুদনের চেতনায় রোমান্টিক ভাব কল্পনাও ছিল যা বাংলা কাব্যের সাধারণ গতির সাথে সামঞ্জস্যপূরন।কিন্তু মধূ
সুদন অন্তরংগ গীতি কবিতার পথে বিচরণ না করে
মহাকাব্য রচনায় মনোযোগী হয়েছিলেন।বাংলা সাহিত্যে বিহারীলালই প্রথম গীতি কবিতার জন্ম দেন।
বিহারীলালের কাব্যশিল্প বিচারে উত্তীর্ণ নয় ঠিকই কিন্তু
অন্তরংগ ভাবের গভীরতায় তা অনন্য।বিহারীলালের
কাব্য ছিল 'কবির মগ্ন চৈতন্যের স্রিস্তি"।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলালের কাব্যের অনুরক্ত ছিলেন।তিনি তাঁর
আধুনিক সাহিত্য' গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন,
'বিহারীলাল বাংলা গীতি-কবিতা কুঞ্জের ভোরের পাখী অর্থাৎ তিনিই বর্তমান বাংলালিরিকের উদ্গাতা।' বিহারীলাল আপন মনের কবি।কবির ভাবনা চিন্তা অন্তর্মুখী ভাব-তন্ময়তায় বিভোর।