রোমান্টিক কবিরা বাস্তব সত্যের চেয়ে অনেক গুরুত্ব
পূর্ণ করে তোলেন কল্পনা প্রতিভাকে,রামের জন্ম ভূমির
চেয়ে তাদের মনোভূমি অনেক বেশি সত্য,এ কল্পনা প্রতিভার সাহায্যেই তাঁরা সৃষ্টি করেন আপন বিশ্বলোক
।তাইত'পরস্পর'কবিতায় রুপকথার নিঃসাড় পুরীতে এক পাহাড়ের কাছে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে সম্মন্ধেকবির
নানা রকমের কল্পনা ও কৌতূহল।বিশ্ব কবিতা বিভিন্ন
পর্যায়ের মধ্য দিয়ে'রোমান্টিসিজম'থেকে 'মডার্নিজমে'
উত্তীর্ণ হয়েছে।জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এই সিম্বলি-
জমের প্রভাব লক্ষনীয়।তাঁর কবিতায় বস্তুর সজিবতা,
সবাদ,গন্ধ ও স্পর্শ চেতনাকে একটি গভীর অনুভূতিময় ব্যঞ্জনা দান করা হয়েছে।উপমা,প্রতিকের
প্রয়োগের বিশিষ্টতার জন্য কবির বক্তব্য প্রাণবন্ত এবং
গতিময় হয়েছে।কবির 'অবসরের গান' দেখতে পাই-
"রোদের নরম রং শিশুর গালের মত লাল"
জীবনানন্দ দাশ দক্ষ চিত্রকরের মতো অজস্র রং ব্যব-
হার করে নিখুঁত অভিব্যক্তিবাদী চিত্রকল্প সৃষ্টির অনন্য
সাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য রবীন্দ্রনাথের ভাষায়"চিত্রময়তা" ।
তিনি 'ধূসর পান্ডুলিপি'র 'অবসরের গান' কবিতায়
যে ইম্প্রেসনিস্ট পরিচর্যার আশ্রয় নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে অপুরব। যেমনঃ-
'মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার,চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ'
'যেই রোদ একবার এসে শুধু চলে যায় ঠোটের চুমো ধরে'
'দিনের আলোয় লাল আগুনের মুখে পুড়ে মাছির মতন'।