আজি তোর মনের বাধন,
খুলে দেরে ওরে মন,
ভেঙ্গে দেরে ওরে তুই-
অতিক্রম করি কষ্ট সাধন।
বলাকার মত পাখা মেলে,
ভেসে যা ওরে হেলে দুলে,
বর্ষারাণীর মত হেলে দুলে-
মিথ্যেরে আজি করি ছেদন।
জীবন চলার পথ বেয়ে,
দুঃখের গান যারে গেয়ে,
কাঁটার শত জ্বালা সয়ে-
জীবন ভর করলি ক্রন্দন।
নদীর স্রোতের মতো,
কাঁদে প্রাণ অবিরত,
হৃদয় আজি ক্ষত বিক্ষত-
আর সহেনা প্রাণে কাঁদন।
সদ্য ফোটা অঙ্কুরের মতো,
ফেলে আসা হাসি গান যত,
মায়াবী লোকে হারিয়ে কখন,
বাসিয়া ভাল গড়িয়া যতন,
আরত সয়েনা প্রাণে এ কাঁদন।
সে ছন্দ হারা নুপুর পথে,
কে কাঁদে আজি মোর সাথে,
মিছে আজি তবে জীবন খেলা,
এ জগতের  পথে পথে মেলা,
মিথ্যেরে মূল করিয়ে ছেদন-
আর সয়েনা প্রাণে এ কাঁদন।
হাজার বছর কল্পনাতে,
দুলছে দোদুল দোলনাতে,
বিধির বিধানে নাইকিরে সুখ,
পেলাম শুধু তাইকিরে দুঃখ,
কেমনে আজি ছিড়ব বাঁধন-
জিততে হলে সইব কাঁদন।
চলেছি আজি সুদূর পানে,
সত্যের আশায় নেশার টানে,
ভালবাসার জয়ো গানে আজ,
ভাঙ্গব আজি ভুলের রংবাজ,
মরুর বুকে কান্নার সুরে,
ভাসিয়ে সবই অশ্রুনীরে,
মন ভুলানো মায়াবী আঁখি-
বাঁধিয়াছে সে কবির রাখী।
ভবের লাগি রেখে এ দান,
ভাল বেসে গেয়ে যে গান,
চেয়ে দেখি দুচোখ মেলে-
বেড়িয়েছি শুধু হেসে-খেলে।
জীবন সন্ধ্যা আসছে নেমে,
হিসাব খাতা হাতে নিয়ে,
শুকনা পাতা যায় যে ঝরে,
দীন-হীন কাঙ্গাল পথে মরে।
লোভ মানুষে করি কাঙ্গাল,
নেশার ঘোরে হয়ে মাতাল।
এত করে ছিড়েনা বাঁধন,
মিথ্যের মূল করিয়ে ছেদন।
সকলি সুখ নিলি কাড়ি,
করবিনা কেও বাড়াবাড়ি,
একদিন ফিরে যেতে হবে,
কেহ চিরকাল নাহি রবে।
হিসাব নিকাশ দিতেই হবে,
যা করেছিস তুই এ ভবে,
রেহাই কেও পাবিনা সেথায়,
উঠিবে ভাসি স্মৃতির পাতায়,
মানী লোকের নামছে বেদন,
সহেনা প্রাণে বুঝি এ কাঁদন।
মনেতে তোর মানিক ভরা,
জ্ঞানে যে তোর সূধা ঝরা,
সত্যকে তাই আঁকড়ে নেড়ে-
বলছে যেন বারে বারে।
শান্তির বাণী পৌঁছে দিয়ে,
অসত্যের সে দ্বার পেরিয়ে-
চেয়ে দেখিস মর্ত-লোকে,
সত্য তোকে নেবে ডেকে।
সংগ্রামী মন গড়লে তবে,
সত্যকে দাঁড় করতে হবে।
ফেলে দে আজ মিথ্যে প্রাসাদ,
বুক পেতে নে ঘাত-প্রতিঘাত,
ভুলে গেছিস সৃষ্টির স্মরণ-
কাটবে দেখিস প্রাণের বাঁধন।
দেরি কেন তবে সত্য বরণ,
বিদায় বেলা করিস স্মরণ।
ওয়াদা ভংগ করিলি এসে ভবে,
জগত খেলা একদিন সাঙ্গ হবে,
কাল সমন ঠিকই এসে দেখা দিবে।