পরাবাস্তবতা বলতে বোঝায় বাস্তবের অধিক বাস্তব।
সাহিত্যে বা কাব্য সাহিত্যে পরাবাস্তবতা বেশি দিনের
নয়।রুপকাহিনী,ধর্মকাহিনী প্রভৃতি গাথা জাতীয় রচনা
শুনতে শুনতে মানুষ যখন বিতৃষ্ণ হয়ে উঠেছে,তখন তার স্থানে দাঁড়িয়েছে বাস্তবতা। এই বাস্তবতার অতপত
ই পরাবাস্তব। পরাবাস্তবতাবাদ এ শতাব্দীর মুখ্যতম
কাব্য আন্দোলন।পরাবাসবতার প্রধান নিশান বরদার
আদ্রেবেভোঁ বলেছিলেন,'যা বিস্ময়কর তা সব সময়ই
সুন্দর।' আর অবাক হওয়া ও অবাক করার মুলধন
গিওম আপলিনেয়ার লিখলেন পরাবাস্তব কবিতা,যে
অবাধ অনুসংগ ও অনুচেতনের সম্মুখে পরাবাস্তব কবিতা বিশিষ্ট যতি চিহ্ন হীনতার এক বড় সহায়ক।
যেমন,
   তোমার বন্দনা কবি যেহেতু আছে তোমার আছে
            পরম চোমশ
          এক দেবীর বদ্বীপ
তোমার কুমারী বনে আমি এক দারুন কাঠুরে
হে আমার সব পেয়েছিস দেশ
তোমার বিশাল মহাসাগরে একমাত্র মাছ আমি
হে আমাড় রুচির সাইরেন।
(গোপন-কবিতা,গেওম আপোলিনেয়ার)।