ওগো মানস সুন্দরী তোমা প্রেমে তব,
আমি আজি গাহিয়াছি গান কত স্তব।
মৃত্যুর বিভীশিখা দীপ নিভিয়ে তাই,
ভালবেসে তোমাকে গান গেয়ে যাই।
ফুরাবে বেলা তোমারই মাঝে আমার,
সারা জীবন কভূ ফিরিব না আর।
জীবনের প্রতিটি রক্ত বিন্দু দিয়ে,
ভালবাসা দিয়ে যাব বেদনা নিয়ে।
আঁধারের মাঝে খুঁজিয়া ফিরিব আমি
তোমারে!আছো কোথায়,জানে অন্তর্যামী।
একদা কেঁদে কেঁদে মিশে যাব মাটির
সাথে।পাবেনা কোথাও মোর চিহ্নটির।
নিষ্পাপ কত ফুল ঝরিছে দিবা রাত্রি,
শেষে তাই,খুঁজিয়া ফিরিছে তারে বিধাত্রী।
রক্ত কনিকা ফোটে হিয়াতে মুক্তি লভে,
অধরাতে,জীবন আঁধারে ঘন যবে।
জীবন মিনারে দাঁড়ায়ে একমনে তোমারে,
দেখিব নয়ন ভরে,জীবন বসন্ত জোয়ারে।
ভালবাসার পাত্রটি উজাড় কোরে কভূ,
দুনয়ন ভরে;তোমারে আমি দেখিব তবু।
প্রেমের বাশুরী তানে হৃদয় আনমনা, বিধাত্রী
অবশেষে।ফেলে সব সাজি বিদায়ের যাত্রী।
কে পারে তারে ধরিয়া রাখিতে এ ধরণীতে,
প্রিয়ার খোঁজে,একা আমি চলেছি নিশিথে।
পাষাণের মতো এমনটিরে বেঁধে নিয়েছিলে
আপন করে।হিয়ায় বেঁধে তব দিলে।
বিশ্ব মোহিনী কুমুদী বুঝি কহিল,
তখনি যেন প্রেমের ফোয়ারা ছুটিল।