জননী, তোমার চোখে এখনো কালো কাপড়
গন্ধারীর মতো,
যে সত্যকে বরণ না করে ঢেকে রেখেছিল
দুর্যোধনের যাবতীয় পাপ।

তুমি কি জানো,
এই নতুন শতাব্দীতে দুর্যোধন সংসদে দাঁড়ায়, ধর্মরূপে মুখোশ পরে, আর তোমার কণ্ঠে
বসিয়ে দেয় ধর্মনীতির তালা?

জায়া, তুমি হও অনুসূয়া
তিন দেবতার তপস্যায় অভিভূত,
তিনটি শিশুকে ধারণ করেও
তুমি হয়ে থাকো পরের ঘর শুদ্ধতা!

তবুও, সংসারের রান্নাঘরে
তোমার ইচ্ছা মাপা হয় শুদ্ধতার স্কেল দিয়ে,
আইনের পাতায় লেখা থাকে
তোমার নীরবতা মানে সম্মতি।

এখন কন্যা জন্মায় দুর্গা হয়ে
হাতে ত্রিশূল, চোখে আগুন,
তবু তাকে বলা হয়,
“নারীত্ব মানে নম্রতা, সহনশীলতা।”

সে কালী হয়ে নাচে রক্তস্নাত রাজপথে,
জিভ লাল, মুখে বিক্ষোভ,
তবু তার নাচ ব্যাখ্যা হয় অশালীনতা দিয়ে।

এই রাষ্ট্রের আয়নায়
নারী এখনো পুরাণের প্রতিচ্ছবি
জীবন্ত নয়, পাথরে খোদাই।

তাই আমি লিখি একটি নতুন শ্লোক
না পুরাণে, না ধর্মে,
না আইনের ধারায় লেখা আছে যার ব্যাখ্যা

“নারী Consent নয় কাহিনী,
নারী শরীর নয় দলিল,
নারী মানব নয় মূর্তি সে নিজেই ঈশ্বরী,
নিজেই আইন, নিজেই বিপ্লব।”

এই কবিতা কেউ আগে লেখেনি,
কারণ এই রাগ, এই প্রতীক্ষা,
এই পৌরাণিক প্রতিচ্ছবির প্রতিবাদ
এই মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে
আমার কণ্ঠে, তোমার রক্তে।

তুমি প্রস্তুত তো?
নতুন পুরাণ লেখার জন্য?