হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করা যায়না যাকে,
মনের দেয়াল খুলে অনুভব করা যায়না যাকে,
ভীষণ কাম উত্তেজনায় কাছে টেনে নেয়ার অধিকার দেয়নি যে কখনো,
পথের গন্তব্য খুঁজে খুঁজে দিশেহারা হয়ে স্থবির পড়ে থাকলেও_
যে কখনো দিশাহীনকে অনুপ্রাণিত করতে আসেনি,
যে কেবল স্বার্থপরের মতন ভেবেছে আত্ন পৃথিবীকে নিয়ে,
পাখির বাসার মতন টিপেটিপে সার্থ সিদ্ধি রচনা করেছে,
সময়ের তালে তাল মিলিয়ে চলাকে প্রাধান্য দিয়েছে_
সে কি কখনো হৃদয় স্বচ্ছ ভালোবাসা পাওয়ার বা দেয়ার মতো নিঃস্বার্থবান মানুষ হতে পারে!
পারেনি প্রেমিক/প্রেমীকা হতে,
পারেনি দুঃসময়ের বন্ধু হতে,
পারেনি সে,পারেনি কিছুই হতে!
এমন না পারা আত্নভোলা মানুষের লোকারন্য ভূমি আজকের এই পৃথিবী_
তাই কারো প্রেমিক হয়ে উঠতে উঠতেও পরাজয়ে নিপতিত হয়েছি,
হৃদয়ে গেঁথে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি বারবার।
এভাবে কম্প্রোমাইজ করে চলাকে খোলসবন্দী জীবন বলে!
মুক্ত হতে চাই মুক্ত!
প্রকৃতির মতো উন্মুক্ত!
পৃথিবীর অমন নিরামিষ প্রেম/লেনদেন/যাপনের ধল প্রহর স্পর্শ না করুক আর,
জলের মতো মুক্ত প্রহরীরা হাত মেলে ডাকছে,
পাহাড়ের মতো শুনসান অটল নদীবাহী ঢেউ হবো,
পিপাসিত হয়ে এতোটা কাল এতোটা পথ এতোগুলো বছর অতিবাহিত হচ্ছেই,
পাড়ি দিয়েছি একান্ত নির্জনে কত্তো সহজেই কি কঠিন দুর্গম দুঃসাধ্য!
অবশেষে আবেগের আকাশকে ছুয়ে ফেলেছি কবিতার যাপনিকায়,
উদ্দেশ্য মহাকাল ছোঁয়ার।