পৃথিবী একটি উঠোনেই সাব্যস্ত হতে চেয়েছিলো
অথচ মানুষ চেয়েছিলো গননাতীত উঠোন গননাতীত বিচ্ছেদ'
তাই আজ পৃথিবী জুড়েই প্রচন্ড বিক্ষোভ
রক্তের সরোবরে লেপ্টে গেছে মানবিক প্রতীক চিহ্ন_
তোমার উঠোনে শাক পাতা খড়কুটো নরম ঘাসের রাজত্ব
আমার উঠোনময় জল-বিল টোপা পানা শামুক মাছেদের বিচরণ
অমুকের উঠোনের নৌকো তমুকের উঠোনে ভিড় জমায় স্নিগ্ধ সকালে সোনালী বিকেলে
বিনিময় হয় বিনিয়োগে_
যার উঠোনে গরু ছাগল মহিষের মেলা
খেত খামাড়িদের দেয়াল বেষ্টন তাদের জন্য দেয়া
এভাবে পৃথিবীতে গড়ে উঠেছে এক'শ কোটি উঠোন
এক'শ কোটি বিচ্ছেদ দেয়াল_
আমাদের এমন উঠোন ব্যবচ্ছেদের মহারাজা অর্থ বিত্ত্ব আর সাম্প্রদায়িকতা,
যার অর্থ নেই তার কোনো উঠোন নেই
যার সাম্প্রদায়িকতা নেই-সে কাগজের মতো শুভ্র চেতা
এই যে আমি কবিতা লিখছি-তার নির্দিষ্ট কোনো উঠোন নেই
যদি থাকতো তাহলে সে কবিতা হয়ে উঠতো না
তুমি চাইলেই বিনার্থের ফসল রুপে গিলে নিতে পারো তাকে
কবিতার কোনো দাবি থাকেনা
তাই তার ব্যথায় অঙ্কুরিত রক্ত লার্ভা তোমাদের পক্ষে কথা বলে
যখন তোমরা অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়ে উঠো
যখন তোমরা সর্বহারা উদবাস্তুর মতো পথের ঠিকানায় উদ্দেশ্য খোঁজো
তাই কবিতার শ্লোকে/চরণে/উপমায় পৃথিবীর আশা আর হতাশাগুলি সত্যি হয়ে ওঠে একটি উঠোনের প্রেক্ষাপটে
তবুও তোমার উঠোন হৃদয়ে তালা- আমাকে ঠাঁই দিলেনা
যদি আজ এক উঠোনে মিলিত হয়ে
সাম্যের শ্লোগানে বলে উঠতে না পারি
আমরা মানবিক মানুষ-এক উঠোনের বাসিন্দা
তবে কি আর কখনো পারবো বলতো!
জন্মের আগুনে সেই থেকে জ্বলছিই-
যবে থেকে ভেবেছি-আমার উঠোন নেই,আমার অস্তিত্ব পৃথিবীর উঠোনে/