উদাসীন সেই লোকটা
সকাল বিকাল আকাশের চোখে চোখ রেখে
কি যেন বলে?
উদাসীন সেই লোকটা
গাছের নীচে দাঁড়িয়ে মরা পাতা গোনে।
উদাসীন সেই লোকটা
বয়ে চলা নদীর পাশে পড়ে থাকা নুড়ি গোনে।
উদাসীন সেই লোকটা
সমাজের খবর নাই রাখে।
উদাসীন সেই লোকটা
ভোটের মর্ম নাই বোঝে।
উদাসীন সেই লোকটা
হাট বাজারের গল্প নাই শোনে।
উদাসীন সেই লোকটা
বুঝেছিল ভালোবাসার মানে।
উদাসীন সেই লোকটা
জানত দেশপ্রেমের মানে।
উদাসীন সেই লোকটা
যুদ্ধের আগুনে হয়েছে ছায়খার।
সংসারে শুধু ছিল তার এক সৈনিক ছেলে
বন্দুকের গুলি বোঝে না কিছু যে।
রোজ নদীর তীরে শ্মশানে আগুনের শিখা খোঁজে ,
মরা পাতার মর্মর শব্দ শোনে।
আকাশে তাকিয়ে ধোঁয়ায় প্রতিচ্ছবি খোঁজে।
উদাসীন সেই লোকটা
শুধু বোঝে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার মানে।