পাড়ার রহিম একদিন বলে মোরে,
যেদিন তার মা ঘুমিয়েছিল কবরে।
মা-এর গল্প শুরু করতেই সে,
নয়নে জল তার যাচ্ছিল বেয়ে।
মুই বলি কি হলো রহিম বলো,
রহিম কইলো আমবাগানে আগে আমার সহিত চলো।
আমবাগানে যেতেই আমার বুক জড়িয়ে ধরে,
কাঁদতে কাঁদতে বলে মাকে রেখে এসেছি কবরে।
মা যে কি আসরফি তোরে আমি কি করে বোঝায়,
মা যে শুয়েছে ,চিরদিনের জন্য কবরে কাফনের বিছানায়।
মা আমাকে বুকে রেখেছিল খেয়াল যখন পড়ে
কবর থেকে আর আসবে না কোনোদিন মন বড় ছটফট করে।
আগে যদি জানিতাম যে এইরকমও দিন আসবে,
দিলটা দিয়ে ভালোবাসতাম,অবহেলা করতাম না তারে।
মা'কে কোনোদিন দাম দি'নি ভাই মন যাচ্ছে ফেটে,
এখন ভাবি মা তোমাকে ভালোবাসবো চলে এসো না কবর ছেটে।
বাড়িঘর,সম্পত্তি,সুন্দরী বউ আছে মোর ভাই,
মা'কে কবরে রাখার পর দুনিয়াতে মুই বড় অসহায়।
আল্লাহ কে বলি মা দিয়ে দাও সবকিছুর পরিবর্তে,
বুক ফেটে যাচ্ছে মোর মা'কে কবরে দেখে ।
ব্যাথা সব শুনে মুই রহিমকে বলি,
বুকটা ফেটে যাচ্ছে ভাই মুই এখুন চলি।
আসার পথে খেয়াল হচ্ছিল রহিমের বড় ব্যাথা,
নয়ন ভরে যাচ্ছিল জলে,মুখ থেকে বের হচ্ছিলো না কথা।
ভাবিনু মুই মা যে হলো খোদার দেওয়া আসরফি,
মায়ের সেবা করলে জান্নাতের এক দরজা পামু নাকি।
রহিমের দরদ্ দেখে,দিল্ যে মোর কই,
মা তোক্ অবহেলা মুই করমু না কখুনোই।
কবরে যদি মা একবার শুয়ে যাই ভাই,
আসবে না কভূ,মন ভরে ভালোবেসে নাও তাই।
কাফনের কাপড় সবাই পরবে জানি মুইও একদিন,
মন ভরে ভালোবাসবো মাকে করমুনি অবহেলা কোনোদিন।
মাকে বলি রহিম কাঁদছে মায়ের জন্য আমবাগানে,
জড়িয়ে ধরে বলে মা আয় বুকে মোর এখানে ।
ভালোবাসি তোমায় মা বললো মোকে,
সারাজীবন ভালোবাসমু তোমায়ও আমি বলনু মাকে।
সাথে সাথে করলুম দোয়া যারা আছে কবরে,
ঘুমিয়ে গেলাম আমিও মায়ের সুখের চাঁদরে।