বাড়ি আমার তুলসীহাটা গ্রামে,
পরিচয় ছিল ছোট্ট ব্যবসায়ী,কৃষকের ছেলে নামে।
শৈশবটা কেটেছে মাঠে,খ্খেতে,আমবগানে,
প্রাথমিক শিক্ষা করেছি বিবেকানন্দ শিশু অঙ্গনে।
মাঠে,স্কুলে থাকার সময় মাথা তুলেছি মেঘে,
যাবো কোন্ দিন মেঘে আকাঙ্খা অনেক জাগে।
ডান্ডা,পুঁতি খেলার সময় নজর যখন যায় আকাশে,
সাদা মেঘ দেখি তখন রবির সঙ্গে হাসে।
পড়াশোনাতে ছিলাম না ভালো বন্যা যখন এলো গ্রামে,
বাঁশ,টালি,মাটির কুটির ছিল যেটা গেছিল তখন ভেঙ্গে।
পাশের কুটির সাহায্য,আশ্রয় দিয়েছিল মোদের,
ভাবতাম মেঘের মতো আছে যার বড় ঘর চিন্তা আর কিসের।
বাবার কেরানির চাকুরি হলো সর্ব শিক্ষা মিশনের,
মেঘের নিচে আশ্রয়ের মেঘ বানালাম যেটা ছিল বাঁশের।
এইরকমই শেষে উঠলাম আমি তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে,
ভাই বোন নেই মোর মেঘকে বসিয়েছিলাম মনের হৃদয়ে।
উড়োজাহাজ,হেলিকপ্টার উড়ত যখন মেঘের উপরে,
গরীব মুই ভাবতাম তোর লগে আসমু মুই কি করে।
মেঘের কাছে আসার ইচ্ছে অনেক জেগেছিল মোর,
উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়াশুনাতে দিয়েছিলাম অনেক জোড়।
বাবার বেতন কিছু বাড়লে বাড়ি হলো পাকার,
ভাবলাম মেঘের কাছে যাবার স্বপ্ন পূরণ হবে এবার।
কাদের সাহেব মহান শিক্ষক বিনা স্বার্থে স্বপ্ন পূরণ করত সবার,
আমায়ও অনেক দিয়েছিল সাহায্য মেঘের কাছে যাওয়ার।
পড়াশুনায় ভালো হলাম মাধ্যমিকে পেলাম স্টার,
তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় দিল তখন উত্সাহ,সম্মানের পুরস্কার।
হলো বাবা অনেক খুশি আরও মান সম্মান,
মেঘের কাছে যাওয়ার কষ্ট হচ্ছিল যে ম্লান।
বিদায় হলো গ্রাম,সায়েন্স নিলাম চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনে,
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এসেছিল এই বিদ্যালয়ে খবরটা সবাই জানে।
বাড়ি ছেড়ে আসলাম যখন চাঁচলের এক মেসে,
মেঘ বললো ভয় করো না আছি মুই হামেশা তোর সাথে।
রেজাল্ট ভালো হলো মোর উচ্চমাধ্যমিক স্তরে,
দারিদ্রতা হচ্ছিল দূর দেখছিলাম ধীরে ধীরে।
এর বেশী যাব না আর মেঘ মানা করে,
সত্যি বলছি এই পর্যন্ত মেঘে গেছি বহু উড়োজাহাজে করে।
মেঘ ভালো লেগেছিল নিয়েছিলাম তাই এই মন্নত্,
মেঘের সঙ্গী হয়ে থাকবো চিরদিনই হবো আমি পাইলট।
মেঘও খুব খুশী কান্ড মোর দেখে,
হতে চলেছি আমি পাইলট শত পরিশ্রম শেষে।
অসহায়,মধ্যবিত্ত,গ্রামীণ পরিবার থেকে যে আমি,
রহম চাইবো উপরওয়ালার কাছে যাতে মেঘের সাথে থাকি চিরদিনই।
ভবিষ্যতে কি করব,কোথায় যাবো,কবরে যাবো কখন,
মেঘ বলে কেয়ামত্ পর্যন্ত সাথে তোর থাকবে মোর ভালোবাসা ভরা মন্।