আমি তো জন্মেছি ।
জন্মেছি কোন এক সন্ধ্যাবেলায়
হয়ত কোন শিশির ভেজা ভোরে ।
না হয়তো গোধূলি বিকেলে ।
থেকেছি মায়ের কোলে ,শুনেছি বাংলা কবিতা আর গান ।
শুনেছি আরো মসজিদের ইমামের মিষ্টি আজান।


দেখেছি তখন মায়ের মতন চাঁদের মতো এই বাংলা ।
শুনেছি মাতাল হাওয়া,পাখির কিচিরমিচির আর দেখছি আকাশের বিশালতা ।
শুনেছি বাউলের বাংলার গান,দেখেছি মাঝীর পাল তোলা নৌকার প্রতীক আর নদীর কলতান ।


শুনেছি বড় ভাইয়ের কন্ঠে জাতীয় সংগীত।
শুনেছি রেডিও টেলিভিশনের শব্দ ।
শুনেছি আমি বোনের আহাজারি ,মায়ের অশ্রবন চিৎকার ।
শুনেছি বাবার বোবা গলার ছেলে হাড়ানোর আর্তনাদ ।


দেখেছি রক্ত ভেজা ফসলের মাঠ ,পুকুরের পাড় আর নারিকেল গাছ তলা ।
দেখেছি মসজিদের বারান্দায় রক্তের স্তূপ আর নতুন বৌয়ের শাড়ির আছলায় ।
দেখেছি ফকিরের তপ্লি ছেঁড়া বুকের হাড় গুলি ।
দেখেছি আমি গর্ভবতী মায়ের করুন দৃশ্য ।


মা।
তুমি জানো?
তুমি দেখেছো ?
সেদিন তোমার লক্ষ কোটি ছেলের রক্তে রাঙানো লাল সবুজের পতাকা ।
শুনছো কি মা মা বলে ডাকা সেই বাংলা ভাষা ।


মা।
তুমি চিন্তা করো না ।
এখনো আছে তোমার ছেলে বেঁচে ।
রক্ত যদি আরো দিতে হয় দেব।
তবুও তোমার ভাষা রক্ষা করে ছাড়ব ।