বিবর্তন বর্ণের বিলাসিতার মুকুটের মহিমায় বেঁচে থাকার আত্নতৃপ্তি যেখানে অপদস্থ ।
জীবন জীবিকার জীবজন্তুতে পথে পায়চারি লোক দেখানো সমাজে ইজ্জত যেখানে পরাস্ত ।
অন্যায় অত্যাচারে অপকর্মে জরিত জীবন অবহেলায় অগোচরে বেআইনি কাজে যেখানে মনস্থ ।
দেহ দর্শনের দর্শনীয় সুযোগে সুভাগ্য চোখের অশ্রুগ্রন্থিগুলো নির্বিকার জ্বলে ভাসে সমস্ত ।
সেখানে ,
উপাধি গুলো বালুর মতো ।
কখনও শুকনো পাতার মতো ।


সেজেগুজে হয়তো রাস্তার মোড়ে নয়তো রেল স্টেশনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ।
বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গির ইশারায় হয়তো কোন পার্কে নয়তো কোন ঝোপঝাড়ের পাশে ।
দরকষাকষির রেষারেষিতে হয়তো কোন বাসায় নয়তো কোন পুরাতন বাসে ।
চুপিচুপি ডাকাডাকির বেড়াজালে হয়তো কোন বস্তিতে নয়তো রাস্তার পাশে বিছানো কাপরের নিবাসে ।


পতিতাবৃত্তি ,বেশ্যালয়, দেহ বিক্রির কারখানা ।
হয়তো খুব বেশি নয় ,অল্প পরিসরে জানাশোনা ।
কেউ ডুবে আছে দেহ খিদে মেটানোর ধান্দায় ।
কেউ ভেসে আছে পেট পুজোর কামনায় ।
কেউ জড়িয়ে আছে এমন ব্যবসার জালে ।
কেউ ঘুমিয়ে আছে সন্তান লালন পালনে ।


পুরুষেরা ন্যায় নীতিতে থাকা উঁচু সারির লোকেদের কোন নাম হয় না ।
ধর্মভীরু ধার্মিক মহাজনের কোন খেতাব হয় না ।
শিক্ষিত পন্ডিত শ্রেণীর শিক্ষাগুরুর কোন উপাধি হয় না ।
যুবক সমাজ ,ব্যবসায়ীদের আলাদা কোন পরিচয় হয় না ।


বস্তিতে বসবাস বালিকার বেশ্যা উপাধি খুব সহজেই রূপান্তর করা যায় ।
পিতৃহীন পরিচয়হীন পদ্মফুলের মতো মেয়েটিকে সহজেই পতিতা গালি দেয়া যায় ।
যন্ত্রণায় কাতর বৃদ্ধ মায়ের মেয়েকে সহজেই নটি বলে মুকুট পরিয়ে দেয়া যায় ।
শিক্ষা থেকে বঞ্চিত কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বয়স্ক মহিলাকে খুব সহজেই সর্দার হিসাবে পরিচয় করে দেওয়া যায় ।


এত শত উপাধিতে তারা ভালই আছে ।
হয়তো তারা পিছিয়ে আছে ।তবুও তারা লুটপাট থেকে সরে আছে ।
ছিনতাই রাহাজানি থেকে নিজেকে মুক্ত রেখেছে ।
অর্থ কেলেঙ্কারির সুযোগ থেকে সরে গা ঢাকা দিয়েছে ।
প্রশ্ন ফাঁস থেকে না উপক্রিত হচ্ছে না অপকার হচ্ছে ।
দুর্নীতি পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে ।


উপাধিতে ভরে দেয়া উচিত ওইসব লোকের যারা দেশের ক্ষতি করতে ব্যস্ত ।
যারা নিজেদের ফায়দা লুফতে সবসময় ন্যস্ত ।
সরকার যাদের কাছে জিম্মি আর সকল কার্যক্রম পরাস্ত ।
যাদের বিবেক থেকেও অন্যায় অত্যাচারের সুবিধায় ব্যস্ত ।