আমি খড়কুটো প্রেমের অর্থ বুঝি না।
বুঝিনা ভালোবাসার অলিগলিতে হাঁটা।
স্নিগ্ধ ভোরে কদম ফুল কুড়ানো,
তিন রাস্তার মোড়ে রিকশা নিয়ে দাড়ানো,
প্রেমিকার খোঁপায় রক্তজবা গুজানো,
এক সাথে বসে গান শোনানো,
কিংবা হাঁটু গেড়ে গোলাপ দিয়ে ভালবাসা প্রকাশ,
হয়তো এগুলোর কিছুই আমি পারবোনা।


প্রথম যেদিন সে ভালবেসে ছিল,
প্রথম যেদিন সে লাল শাড়ি বেনী ফুল পরে এসেছিল,
প্রথম যেদিন সে লজ্জায় লাল হয়ে ওঠেছিল,
প্রথম যেদিন সে নদীর ধারেকাছে ভালোবাসি বলেছিল,
আমি পারবেনা না কিছুই মনে রাখতে।


তার জন্মদিন তারিখটি মনে করে,
সবার আগে শুভেচ্ছা জানাতে,
প্রথম দেখার স্মৃতিময় প্রিয় স্হানটুকু মনে করে,
কোন শুভক্ষণের সময়ে ঘুরতে যাওয়া,
প্রিয় মানুষটির হাতে গোলাপ কিংবা নীল ডায়েরি দেওয়া,
একসাথে রিকশায় গুঁজে বসে প্রিয় রেস্তোরাঁয় খাওয়া,
এগুলোর কোনটাই আমার দ্বারা সম্ভব নয়।


মধ্যবিত্তের ঘরে প্রেম থাকতে নেই শুভমিতা,
মধ্যবিত্তরা শুধু জানে সংসারের সুখের খোঁজ,
টিউশনির টাকায় বাসা ভাড়া দেওয়া,
দশ টাকায় পেট ভর্তি খাওয়া,
পাঁচ টাকার জন্য ঘন্টা খানেক হাঁটা,
ঘামের বদলে চাকরি খোঁজা,
গোলাপের টাকায় বোনের বেতন,
ডায়েরির টাকায় মায়ের ঔষধ,
রেস্তোরাঁর পরিশোধ করা টাকায় সংসার খরচ,
ঘুরতে যাওয়া রিকশার ভাড়ায় রাতের খাবার,


শুভমিতা তুমি জানোনা,
পূর্ণিমার চাঁদ মধ্যবিত্তকে আলোকিত করে না,
আলোকিত করে টিউশনির ক্ষুদ্র কিছু টাকার নোট।
মধ্যবিত্তরা সুখী হতে পারে না,
সুখী করে প্রতিনিয়ত কিছু অভিনয়।
তবে হ্যাঁ শুভমিতা,
জেনে নিও দিন শেষে পূর্ণিমার চাঁদ,
মধ্যবিত্তের কুটিরেই ঝলমল করে।