বালক,
আমি আবার আসিব ফিরে এই মেঠোপথ ধরে এই সোনার বাংলায়।
যেখানে শালিকের মেলা দোয়েলের নাচানাচি জেলেরা মাঝ নদীতে গান গায়।
আমি আবার আসিব ফিরে কাশফুলের ভীড়ে কাকতাড়ুয়ার বেশে।
যেখানে সূর্য স্নান করে নদীর কোলে সাদা কচু ফুলেরা হাসে।


বালিকা,  
আমি আবার আসিব ফিরে রাখালের বেশে হাতে নিয়ে সুরের বাঁশি।
যেখানে সন্ধ্যা নামে গাংচিলে সাদা বকেরা ঘরে ফেরে নিয়ে হাসি।
আমি আবার আসিব ফিরে খুব প্রভাতে স্নিগ্ধ শিহরনে নিয়ে শত পিপাসা।
যেখানে খেজুরের রসে পরান জুড়ায় শিশিরকণারা খেলে আলো বাতাশে।


মা,
আমি আবার এসেছি,
আবার এসেছি মেহেদী পাতার রংয়ে আঁকতে,
পথের ধুলো মাখতে।
ডাংগুলি আর গোল্লাছুটের নেশায়।
আবার এসেছি বাউলের গানে জড়াতে,
কৃষকের মাথাল আর কাঁচির ধারালো সিঁড়িতে।
গরুর গাড়ি আর মইয়ের ছোঁয়ায়।


বাবা,
আমি আবার এসেছি,
আবার এসেছি ফিরে নৌকার মাস্তুলে, তোমার লাঠি আর লাঙলে।
হাওয়ায় মিঠাই আর বায়স্কোপের পর্দায়।
আমি আবার এসেছি ফিরে গঞ্জের মিঠাপানি ঘোলে, মোয়া আর জিলাপির গরম জলে।
টমটম গাড়ি আর ঘুড়ির খেলায়।


প্রিয়জন,
তোমরা কেঁদনা,ফিরে পাবে বারেবারে -আমারে।
সুঁই সুতো চুরি বোনের দৌড়ানিতে।
বাবার কনুই আঙুল ধরে বাজারে যাওয়াতে।
মায়ের শাড়ির আঁচলে লুকানো গিট্টুর দু টাকা নোটে।
লাফালাফির শব্দে পুকুর আর গাংয়ে।
ফড়িং ধরার অভিনব কায়দায়।
পাখির বাসার খোঁজে।