মা।
তুমি কি জানো ?
আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারী ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ।
যার জন্য আজ বুকে এত সাহস ।
এত শক্তি অত আত্নবল।
এত আস্থা এত জাগ্রত দেহ প্রান ।
কন্ঠে এত আহ্বান আর ঘামে এত প্রশান্তির ছায়া।
চোখ এত রাগান্বিত আর হাতে প্রবল শক্তি ।


মা।
তুমি কি জানো?
আজ.............।
হয়ত তুমি জেনে থাকবে ।
বরকত আর ফেরেনি ।
রফিকের দেহে কোন শব্দ নেই ।
নেই তাঁর মায়ের মুখের হাসি।
শেষ বারের মতো কথাও হয়নি ।
বলতেও পারেনি মা ! কেমন আছো ?


মা।
তুমি কি জানো?
আজ আজ আজ.......।
তোমার কি মনে আছে ?
তোমার বড় ছেলে,অসীম।
শেষবার তোমাকে বলেছিল-যাচ্ছি মা।
মাফ করে দিও আমারে ।
শেষ পর্যন্ত তোমাকে দেখতে পাবনা ।
আর ফেরেনি ।
পথ চেয়ে থেকেছোতো কয়েক বছর ধরে ।
ফেলেছো চোখের অজস্র পানি ।


মা।
তুমি কি জানো ?
আজ মাতৃভাষা দিবস ।
মা !তোমার কি মনে আছে ?
এই ভয়ানক দিনটার কথা ।
এই লজ্জিত সময় আর কলংক মাখা মুহূর্ত গুলি ।
তীব্র যন্ত্রণা আর কালো মেঘের দমকা হাওয়া ।
অশুদ্ব বাতাশ আর রক্ত মাখা জল পিপাসা ।


মা।
তুমি কি জানো ?
আজ আমার বাংলা ভাষা ।
মা !তোমার কি বোধগম্য আছে ।
আমাদের পাশের বাড়ির সেই অসহায় ছেলেটা ।
ওমর ।
ও যেন মাঝে মাঝে রক্ত মাখা ছেঁড়া জামাকাপড়ে,মুখ ভর্তি দাড়ি নিয়ে আমার সাথে কথা বলে।
ও তোমাকে বলতে চায়।
মা।
তোমার ভাষা আনছি ।


মা।
তুমি কি জানো ?
আজ লমিজ মিয়া দিবস।
কি বলো ?তুমি চিনলানা ।
উত্তর পাড়ার ফকির মুন্সী ।
কর্কট আর রাগী লোকটি ।
তুমিই তো বলেছিলে সেদিন সে সাহস জাগিয়েছিলেন ।
অনুপ্রাণিত করেছিলেন ।


মা।
তুমি কি জানো ?
তোমাকে জানতেই হবে।।
আজ মাতৃভাষা দিবস।
দেখ মা ।
তোমার ছেলেরা হারিয়ে যায়নি ।
লক্ষ লক্ষ সন্তানেরা আজও প্রস্তুত ।
তোমার জব্বার,ছালামের মতো।
তুমি ভয় পেয়োনা তোমার ভাষা ছিনিয়ে আনতে আমরা সদা জাগ্রত ।