পেত্নি,
ভাল লাগে তোকে আঁকতে
হাতের কাছে রাখতে
সারা গায়ে মাখতে
শার্টের বোতামের ছোঁয়াতে ।


পেত্নি,
সাধ জাগে তোর হাত ছুঁয়ে দিতে
পলকে পলকে তোর চোখে চোখ রাখতে
কথায় কথায় অভিমান করতে
হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে পাগল হই তোর রূপেতে
আগুন হয়ে জ্বলি তোর ভরা যৌবনেতে
ভাসি তোর হাসি মাখা মুখেতে
কলঙ্কিত হই তোর না বলা কথাতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে পথ হই তোর চলার পথে
কলম হয়ে লুকিয়ে থাকি তোর খাতার পৃষ্ঠাতে
শব্দ হয়ে বাজি তোর কানের দূলেতে
সাথি হয়ে থাকি সারাক্ষণ তোর নূপুরতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে সাঁতার কাটি তোর ঠোট-সমুদ্রতে
ডুবে মরি তোর চোখের ইশারাতে
জ্ঞান হারিয়ে ফেলি তোর শরীরের গড়নেতে
নিজেকে ফিরে পাই তোর কালো ঘোমটাতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে তোর নাক ফুল হতে
তোর আইভ্রুয়ের কাজল হতে
তোর চুলের খোপার বিনি হতে
তোর কপালের টিপ হতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে তোর রুমের জানালা হতে
তোর পোষা খাঁচার টিয়ে হতে
তোর বারান্দার ছাউনি হতে
তোর লাগানো গোলাপ গাছ হতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে তোর রুমের আলনা হতে
তোর রান্নার চামচ হতে
তোর পড়ানো ছাত্র হতে
তোর শিক্ষকের ব্যাত হতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে তোর বান্ধবীর হাত হতে
ছুতোয় ছুতোয় তোর চিমটি হতে
তোর ছোট খাট খুনসুটি হতে
তোর এলোমেলো ঝগড়া হতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে তোর দোলনায় দুলতে
তোর আঁকতে যাওয়া পাখি হতে
তোর আকাশের ঘুড়ি হতে
তোর ঝুমুর ঝুমুরের চুরি হতে ।


পেত্নি,
ইচ্ছে করে তোর বকুনি খাওয়া নীরবতা হতে
তোর চুপসে যাওয়া অশ্রুগ্রন্থি হতে
তোর শাড়ির আঁচল হতে
তোর খুব ভালবাসা হতে ।


পেত্নি,
ভাল লাগে তোরে এ নামে ডাকতে
ভাল লাগে এজন্য তোর ছোট ছোট ঘুসি পেতে
ভাল লাগে এজন্য তোর ঝগড়ার কারণ  হতে
ভাল লাগে এজন্য তোর সতীন হতে ।