আমি পঁচিশের প্রেমে পড়েছি কয়েক যুগ আগেই।
আমি পঁচিশের ধ্যানে ধন্য হয়েছি ফিরে আসা বৈশাখেই।
আমি পঁচিশে মগ্ন হয়ে আমার সূচনা ভুলি হরহামেশেই।
আমি পঁচিশের জন্মতিথির বর্ষলিপি গুনি বছরন্তেই।


আমি ডুবে মরি তাঁর শব্দ জোড়ার শব্দার্থে।
আমি ভেসে চলি অলিগলি তাঁর কঠিন কর্মার্থে।
আমি নিশাচরী, আবোলতাবোল হই তাঁর বর্ণনার্থে।
আমি ক্ষনস্থায়ী চেতনার পরাজিত হই তাঁর কাব্যতীর্থে।


ওহে বসন্ত কবিবর।
ওহে রবি, বিশ্বকবি ওহে ভানুসিংহ।
তোঁমার যুক্ত বর্ণের ছন্দে দেখেছি বিশ্বসাহিত্য।
তোঁমার তীর ধনুকের লেখার কাজলপাতায় মত্ত।
তোঁমার ছন্দে লেখা কঠিন উচ্চারণে আমি জব্দ।


তোঁমার কলমের  তীক্ষ্ণ শীষধারার শব্দে অমৃত পেয়েছি।
তোঁমার নিপুণ সুনিশ্চিত চিন্তাজগতের কাব্যরসে জাতীয়তা পেয়েছি।
তোঁমার গানের কথামালায় প্রেম ভক্তিতে মেতেছি।
তোঁমার সোনার তরী রচনীয়তায় কর্মফলে গৃহীত হয়েছি।


এই বৈশাখ, এই পঁচিশে বৈশাখের সূচনা ক্ষনে।জন্মজয়ন্তীর আওয়াজ, স্বাধীন জাতীয় সংগীত শুনি।
তোঁমার জন্ম মৃত্যুযোগে শততম প্রনাম এই বৈশাখী লগনে।
ফিরে পাব নবচেতনা,নব সূর বহমানে।