সিগন্যাল জ্বলছে নিভছে ।
সাইকেলের প্যাডেল এখনও গরম হয়ে আছে ।
রিকশার টুংটাং শব্দ এখনো বাজছে ।
সিএনজি চালক ভাড়ার জন্য এখনো চৌরাস্তায়।
রাত ১২ টা।
ঢাকা শহর ।
হয়তো খুব বেশি রাত হয়নি ।
ধনীরা এখনও রেস্তারাঁয় ।
সিকিউরিটি এখনও পাহারায় ।
ড্রাইভার জানে না কখন ফিরবে বাসায় ।
ছোট মেয়েটা এখনও বাবার অপেক্ষায় ।


আর কতদিন ? আর কত সময় ।
এভাবে যখন আরো অবহেলিত হতে হয় ।
এখনো কেন ছুটি মেলে না সঠিক সময় ।
আর একটু ঘুমালেই কি খুব বেশি ক্ষতি হয় ।
যখন সিকিউরিটির ডিউটি ১৬ ঘন্টা ।
ড্রাইভারের ১৪।
যেতে আসতে আরও দুই ঘন্টা ।
কোথায় সময় ?কোথায় স্বাধীনতা ?


রিকশা ওলার বাড়তি চাওয়া ১০ থেকে ১৫ টাকা ।
হয়তো হবেনা কারও পকেট ফাঁকা ।
বৃষ্টিতে ভিজে রৌদ্র আর ঝড়ে পুড়ে ।
হয়ত খুব বেশি চাইনি।
খরচ আমাদের চাইতে তাদেরই বেশি ।


রেস্তারাঁয় সঠিক দামে খাবার নিয়ে ।
বকশিশ দিয়ে আসো ওয়েটারের পকেটে।
সেতো বেতনও পায় সাথে তিন বেলা খাবার ।
তবে রিকশাওয়ালা দোষ করল কোথায় এবার ।
আমি মর্মাহত অনেক ক্লান্ত ।
আমি আরো বেশি হতভম্ব ।
মানুষের দেখে সব মন্ত্র।


রাত ১২ টার পর।
সিএনজি ড্রাইভার ।
ভাড়া চাইতেই পারে কিছু বেশি ।
ঘুম নেই চোখে তার কিছ টাকার আশায় ।
কেন তার কি দোষ বলুন একবার ?
সারাদিন পুলিশ আর মালিক দিয়ে ।
কি থাকে তার পকেটে ।
তারও তো সংসার আর আছে ছেলে মেয়ে ।
তাহলে কেন এত বর্বরতা ?
কেন এত অসামান্যতা ?
আমি খুব দুঃখিত ।
আমি হতভম্ব এজন্য ।
নীচু শ্রেণীর মানুষগুলো আজ নির্যাতিত ।


হয়তো এ লেখা পছন্দ হয়নি অনেকরই ।
গালাগালি করতে পারেন হর হামেশাই ।
তবে ,কেন আপনি আসলেন না বৃষ্টিতে ।
রাত ১২ টায় কেন রাস্তায় ।
ফ্রিতেই কেন টাকা ওয়াটারের পকেটে ।
সিগারেটে কেন দু টাকা বেশি এমনিতেই ।
রেস্তারাঁয় কেন ড্রিংসে পাঁচ টাকা সবসময়ই ।
ফ্যাশন হাউজের ভ্যাটের স্লিপ কেন না ।
সিনেমার টিকেট কেন ব্লাকে বিক্রি হয় ।


আমি হতভম্ব ।
দৈনন্দিন এ কর্মকান্ড দেখে ।
হালকা শরীরে এই অসহ্য যন্ত্রণা মেখে ।
রাতে স্বপ্ন গুলো একে ।
এখনই উঠলাম ঘুম থেকে জেগে ।
ভাল থাকুন ব্যস্ত থেকে ।
এরকম প্রতিদিনের মুহূর্তে ।