সময় দিন বছর হলো পার ।
এখনো নেমে আসে হাহাকার ।
এখনো বিরাজ করে ধিক্কার ।
এখনো বহমান দস্যুদের কারবার ।
এখনো অহেতুক মিছিলের চিৎকার ।
এখনো বাংলার বুকে রাজাকারের টহলদার ।
এখনো হানাদার বাহিনীর কার্যকলাপের প্রচার ।


আজ ঐতিহাসিক ১৪ ডিসেম্বর ।
কলঙ্কিত ১৪ ডিসেম্বর ।
রক্ত ক্ষয়ী ডিসেম্বর ।
আজ মেধাহীন ডিসেম্বর ।
ঘৃণ্য হত্যার ডিসেম্বর ।
মেধাবী সন্তান সংকটের ডিসেম্বর ।
আজ আলবদরদের ডিসেম্বর ।
আজ হানাদার বাহিনীর ডিসেম্বর ।
আজ নেতৃত্বহীন ডিসেম্বর ।
আজ মেধা শূন্য ডিসেম্বর ।
পেশাশূন্য ডিসেম্বর ।


১৯৭১সাল ।১৪ ডিসেম্বর ।
প্রথম সপ্তাহ পর ।
পাক হানাদার বুঝতে পারে তাদের পরাজয়ের খবর।
পাক হানাদার বাহিনীর পরিকল্পিত আক্রমণ ।
মেধাবী সন্তান হত্যার পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন।
ঘৃন্য নীল নকশা জের ধরে ।
মেধাবী সন্তানদের জী ন নেয় কেড়ে ।
এ হত্যাকাণ্ডের ভিরে বাঙালি অনেক জনতা হাতে তালি মারে ।


দেশ হয় মেধা শূন্য ।জাতি হয় বুদ্ধিজীবী হীন ।
জনসমুদ্র হয় নেতৃত্বহীন ।দেশ হয় পরাজিত ।
এখনো কুলকিনারা হয়নি মোটেই ।
কতজন বুদ্ধিজীবী হারিয়েছি সে দিনে রাতে ।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী মোট ১১১১ জন।
এর মধ্যে ৯৯১ শিক্ষাবিদ ,১৩ জন সাংবাদিক ।
৪৯জন চিকিৎসক ,৪২ আইনজীবী ।
১৬ জন শিল্পী ,সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী ।
আর যে কত নিয়েছে বিদায় ।
খুজে পাওয়া যায়নি মোটে ।
হয়তো উঠেনি এখনো অনেকেরই নাম হিসাবের খাতাতে ।


১৪-১৫ ডিসেম্বর যারা এখনো আর ফেরেনি ।
পাক হানাদার যাঁদের ধরে নিয়ে যায় চিরতরে ।
আজ এই দিনে তাঁদের খুবই মনে পরে ।
অনেকেরই লেখা আছে ইতিহাসে।
কিছু লিখে যাই এই রাত জাগা লেখাতে ।
অধ্যাপক মুনীর চোধুরী ও ডাঃ জি সি দেব।
আরো আছে অনেক ।
যেমন আছে আবু তালেব আর শহীদ সাবের ।
এভাবে লেখা যাবে আরো অনেক ।
রাখা যাবে সারিতে সারিতে সারিতে ।


আল্লাহ্ ।
তুমি বাংলাদেশকে রাখ তোমার নজরদারিতে ।
আর যেন না আসে এই দেশে কোন মতে ।
১৪ ডিসেম্বর ।কলঙ্কিত ১৪ ডিসেম্বর ।