তুমি নীলকমলিনী,
তুমিতো নিঃসঙ্গ নও,
তোমারতো হারায়নি কিছু মোটেই।


রেখে গিয়েছো শত সহস্র উদ্দীপনা,
পাওয়ার তাগিদে হৃদয় জ্বলে না,
পুড়ে পুড়ে অপেক্ষা তোমারই সাজে।


সন্ন্যাসীদের হারায় না কিছুই,
তারা বিসর্জন দেয়,
ফেলে রেখে যায় অনন্ত কালের মোহে।


পিছুটান স্পর্শ করতে পারে না,
পিছু ডাকে সাড়াশব্দের চিহ্ন নেই,
পথের মায়ায় হৃদয় শক্ত করে বাঁধা।


স্বাধীনতা,
তুমিও অন্তরে স্বেচ্ছায় স্ব ইচ্ছায় ত্যাগ করেছো,
দ্বিরুক্ত শব্দগুলো তোমার পাহারায় ব্যস্ত,
তোমার বাংলা উপসর্গসমূহ পতাকায় পতপত করছে।


জন্ম দুঃখ, জরা দুঃখ,
মৃত্যু দুঃখগুলো স্মরণিত,
ক্ষনে ক্ষনে দেহ তাপে নিভছে পুড়ছে।


অপ্রিয় ভাষার সঙ্গে সংযোগ দুঃখ,
প্রিয় বাংলা থেকে বিয়োগ দুঃখ,
নিরন্তর সংমিশ্রণে ধ্বংসিত তুমি।
প্রানীকূলেরা জপতে জপতে সুখে রয়েছে,


কেঁদো না,
মানহানীর মামলায় তোমাকে আদালতে তুলবো না,
অতবড় বিক্রেতা আমি নই।


আচ্ছা,
এখনো কি মায়া, মোহ, ঘ্রাণে জীর্ণশীর্ণ তুমি,
ক্রোধ, বিদ্বেষ, ঘৃণা বিদীর্ণ করে তোমার হৃদয় চিত্ত?
তবে তুমি লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে, স্বাধীনতা।


সমস্ত  বিসর্জন দিয়ে এত হা- হুতাশ!
আষ্টেপৃষ্ঠে জগতের বন্ধন।
নির্বাণ যে সহজ নয়।


ফুল নেই,পাখি নেই,
ভালো মন্দ বাংলা উপসর্গ নেই,
দ্বিরুক্ত শব্দ নেই,
উপস্থাপন উপসংহার নেই...থাকবেও না।
জগতের সবই অসত্য, জগতের সবই অনিত্য।


অন্তরে তবু সত্য ধারণ করো,
জগৎ জাতিকে বর্ণনা করো, উচ্চারণ করো,
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
অহিংসিত হোক - ক্ষমা পাক,
দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক।


ফিরে পাক স্বাধীনতা,
কথা বলার গৌরবান্বিত সাহস,
হেঁসে খেলে পার করুক অফুরন্ত সময়,
তুমিতো স্বাধীনতা!
স্বাধীনতায় বেঁচে থাকো অনন্তকাল।