কৃপণ শব্দে পরিচিত
বাড়ি বাজার মাঠে।
পিতা ছেলে  বৌমা
বেজায় অখুশি তাতে।


চলতে ফিরতে কানাকানি
শোনে মাঠে ঘাটে।
বেশি খরচ হলেই একটু
সঞ্জয়ের বুকটা ফাটে।


সঞ্জয়ের গুপ্ত সম্পদ
বহুত আছে ঘটে।
যত ব্যয় ততই সংকট
মাথা ব্যাথা তাতে।


লুকিয়ে রাখা টাকাপয়সা
জমা আছে বটে।
যত আয় ততটা সঞ্চয়
গুঁজে রাখে গ্যাঁটে।


ছেলের বিয়ে বেজায় খুশি
খরচ করবে না মোটে।
নতুন সদস্য যোগ এবার
তাতেই অঘটন ঘটে।


নিজ তাগিদে করতে ব্যয়
বুক যেন তার ফাটে।
দোকানদার বেশি বললেই
যায় যে সে চোটে।


ফ্রী পেলে যাবে দৌড়ে
লোকে বলবে কি তাতে।
অপ্রয়োজনীয় হলেও সেটা
আনবে থলেতে।


বিনা দাওয়াতে ভোজ বাড়িতে
দাড়িয়ে থাকবে গেটে।
পরনিন্দার বালাই ছেড়ে
বসবে চেয়ার সেঁটে।


আপ্যায়নে দারুণ খুশি
ক্ষতির হিসেব নেই।
মিষ্টির দোকান পার হলেও
চিন্তাভাবনার বালাই নেই ।


ডাল ভাত খেয়ে পেটটা তার
গিয়েছে অনেক ফুলে।
আর কিছু লাগে না তার
পেঁয়াজ কাঁচামরিচ পেলে।


নাদুসনুদুস দেহখানি তার
বারবার চেয়ে দেখে।
তার কথা সবাই জানে
বাজারে গুড় চেখে দেখে।


স্বামী স্ত্রী দুজনেই কৃপণ
কৃপণ বড় ছেলে।
এমন সুখের সংসার কি আর
এই জগতে মেলে।


টাকা জমিয়ে প্রতি বছর
জমি কেনে সঞ্জয়।
এই কথা কি লুকিয়ে থাকে
প্রতিবেশীর হিংসে হয়।