শীতের দিনে নানা বাড়ি
জমতো আসর বেশ।
গল্পগুজব হতো যে খুব
কাটতো না রেশ।


নানা বাড়ির ভাপা পিঠা
খেতে লাগতো মিঠা।
নানা নেই নানিও নেই
তাই আশাটাই চিটা।


নারিকেল মুড়ি কুলি পাটিসাপ্টা
খেজুর গুড়ের পায়েস।
সকাল বেলার মিষ্টি রোদে
খেতে হতো আয়েশ।


ঢেঁকির নাচে হতো গুড়ো
পিঠা পায়েসের চাউল।
শব্দ শুনে আসতো ছুটে
গ্রাম বাংলার বাউল।


নানা নানি বেঁচে নেই
খাওয়া হয়না পিঠা।
মামা আছে মামি আছে
তবুও আশাটাই চিটা।


নানি বলতো নানা বলতো।
এসেছে আমার কুটুম।
আজ সারারাত শোনাব তোমায়
আগডুম আর বাগডুম।