তোমাকে সেই কবে দেখেছিলাম কোনো এক গোধূলি লগণে;
তোমার হাতে সময় ছিল অল্প দেখে মেঘ ছিলো গগণে!
হঠাৎ সেই আগ বেড়িয়ে দেখা আমার পাড়ার
মেঠোপথেরও বাঁকে;
তেমনি করে দেখার লাইগা রোজ অপেক্ষায় থাকিতাম পথের মাঝে;
তোমাকে দেখার জন্য যতসব বায়না ছিল আমার সকাল-বিকাল-সাঁঝে!
শুধু দেখিতাম চেয়ে এতরুপ খানী বিধাতা করিলো সৃষ্টি কী কাজে;
প্রথম দেখায় ভালো তো বেসেছিলাম বলতে পারি নি শুধু লাজে!
সেই প্রথম ভালো লাগা-ভালো লেগেছে তোমারও কেশখানী দেখে;
কেশখানী যেন ছুটে চলেছে পদ্মা,মেঘনা যমুনা
নদীর মতো এঁকে বেঁকে!
দীর্ঘ কৃষ্ণবরণ কেশখানী দেখিয়া আমি হয়েছিলাম কবি;
বারংবার এঁকেছিলাম মনের গহীনে উঁকি দেওয়া তোমারও ছবি!
সেই থেকে নিজে নিজে নাম দিয়েছিলাম তোমার "কেশবতী কন্যা"
ভাবিতাম শুধু চেয়ে আমি কি কখনও মনের কথা তোমাকে বলিতে পারবো না!


বছরের পর বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে-সবশেষে লজ্জা পেড়িয়ে হইলো তার সাথে কথা;
মাঝে মাঝে হইতো আবারও না -কিন্তু মনে পড়িত  তোমারও কাছে আমার এসব হতেও পারে ন্যাক্যা!
আবারও ভেবে বসি সে তো জানেই না অযথাই বসে ভাবছি এসব একা একা-
কল্পনায় ভাবিতাম শুধু চেয়ে থাকিতাম পাইলে তার মুখোমুখী দেখা!
তোমাকে নিয়ে ভাবিতে ভাবিতে দুটি বছর পেড়িয়ে পাইলাম তার আবারও দেখা:
সেই একাকিত্ততা কাটিয়ে নিজের করে দিয়ে দিলাম সেই ঠিক করা নাম"কেশবতী কন্যা"
তোমাকে পাবো না  এই বলে অনুভবে চলিয়া আসিত  চোখে অঝড়-ঝড় বন্যা!
তুমি সাহস দিয়েছিলে বলে আপনি থেকে তুমি
করেছি গো পদার্পণ হাজারো কবিতারও ভুমি;
ঠিক এইভাবে মনের কথা লজ্জার ভয়ে- কবিতার মাঝে করিতাম প্রকাশ;
তোমাকে নিয়ে লেখার মাঝেই আমার যত- অবকাশ!