একবার নিসর্গের দিকে চাই- একবার দিগন্তের পানে অনিমেষ- নষ্ট ফসলের ক্ষেতে
অভিভূত কৃষকের বিষন্নতর মুখের মতন মনে হয় দিনান্তের সূর্যকে; কালের দুরন্ত গতির বিবরে-
রূপ যেন ঝরে গেছে পৃথিবীর আজ;
কুড়ি বছর আগের উর্বশীর মতো অবসরে চলে গেছে যে,- যুবাদের হৃদয়ের আকুতি ল’য়ে,
নিখিলের পঞ্জর হতে খসে গেছে যেই আদিম নারীটি
সে কি আসিবে আর সময়ের অনন্ত মরিচীকা ঠেলে?
তবু তার শাশ্বত পুরুষটি অপেক্ষায় ক্ষয়ে যায়;
অন্যএক সত্য বুকে নিয়ে জেগে রয় প্রচ্ছন্ন -দুরাশায়। সেইসব আশা আকাঙ্ক্ষার অগাধ অগ্নি মানব তার হারের বুকে জ্বেলে- গভীর-গভীরতর আকাশের থেকে অসংখ্য নক্ষত্রকে নিয়ে আসে ডেকে;-
তারপর অন্ধকার, অন্ধকার বলে পৃথিবীতে কিছুই রয় না আর।
তবু সারাদিন ঢের ক্লান্তির পর কে বলো জাগিতে চায়? বিক্ষত খড়ের বিছানায়- সকলেরি ঘুম পায়,
ঘুম পায় কীটপতঙ্গের, পাখিদের,- নক্ষত্রও একদিন চুপে ঘুমিয়ে যায়;
আলোর জ্যোৎস্নায় ভিজে ভিজে দিবার রৌদ্রে আক্রান্ত ঘাসেরা হয়তো জেগে রয় একা;
ধূসর ব্যাধির মুখে মরণের সাথে একদিন হয় যদি দেখা।।