হে সুন্দর
নেহারিয়া তব ঐ- রূপ
আখে মোর লেগেছে ভীষণ ঘোর,
হৃদয় মন্দিরে উঠিয়াছে জ্বলে বাসনার ধূপ;
হে অপরূপ,
কেমনে পূজিব তোমার মূরতি খানি
আমি যে মুগ্ধমাতাল- বিস্মৃতপ্রায় আরতির বাণী;


দুর্বিনীত লালসার হাত
প্রসারিত যৌবনের পাপ- নরকের অগ্নি-লেলিহান উনুনের অতলে দগ্ধ
দেহের অবহিত আগুনের থেকে উঠে,
কে পেরেছে তোমারে স্থির প্রেমিকার অবয়ব দিতে!
যে সব বিভূতি- সভ্যতার প্রথম প্রতিচ্ছবি মেসোপোটেমিয়া- ব্যাবিলন পারস্যের মহৎ চিন্তার মাঝে কোথাও পাইনি সদুত্তর।


হে সুন্দর
প্রেমের থেকে যখন বিমুক্ত হৃদয়,
মায়াবীর কঙ্কালে বলয়িত রক্তাভ-মাংস জঙ্ঘাস্থির হোমকুণ্ড অফুরন্ত অগ্নিময়;
জনমানবের উজ্জ্বল ক্ষুধার কাছে কেবল এক শরীরের আরাধনা আছে।
তব এই পূজ্যতর দেহের বিচিত্র কারুকার্য  
হতে পারে কোনোএক মুগ্ধ শিল্পীর অনন্ত নিরাময়;
এ কি তোমার গরিমা নয়?


হে সৃষ্টির বিস্ময়
ওগো নিবিড় পাখিনী,
যাকিছু নীলিমার থেকে একতিল বেশি গুরুতর
সেইসব ঘাস কুহেলিকা- আলো নক্ষত্র রাত্রির কীট- জোনাকির শরীরের থেকে বিচ্ছুরিত,-
মানুষের হৃদয়ের প্রেমের মতই এক ব্যবহার্য বিভা,
সূর্যের স্বর্ণালি আলোকে বিবাসিত তোমার মহত্তর প্রতিভা;
প্রকৃতির সপ্রতিভ বন্ধনীর ভেতর একটি প্রাণের সঞ্চার- একটি শিশুর জন্মযাতনায় ভয়াবহ প্রামানিক তুমি।


তোমারে জেনেছে যে জ্ঞানময় পাখি।