যে শান্তি ল'য়ে উদ্বিগ্ন শিশু তার মায়ের কোলে-
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে যায়
সেইমতো হয়তো আমিও ঘুমায়ে পড়িব একদিন,
তবু মোর অন্তরের তৃষা গুলি তোমার তরে জেগে রবে চিরদিন; চিরদিন কেবলি তোমার অনাদর, উপেক্ষার আঘাতে
হয়তো মোর হাড়ের বুকেও জেগে উঠবে সেদিন অসংখ্য নীলাভ গরল ক্ষত!
তবু জীবনের সহস্র ব্যর্থতা, কাছের মানুষের দেয়া ব্যাথা, অতীতের ক্লান্তি ল'য়ে- মুমূর্ষের মতো চেয়ে র'ব অপলক; আকাঙ্ক্ষার পাখি রবে বুকের উপর,
তারি নিচে শুয়ে রব আমি; মৃত্যু-উজাগর নিশি আর সমাপ্তিহীন ক্ষুধা নিয়ে একাকী কেটে যাবে অনন্তকাল! তোমারে পাব না তবু সেইসব তমসা, বেদনার গাঢ়তায় দেখিব না কোনদিন আর পাড়াগাঁর পথে- ধানভানা রূপসীর মতো কোমরে আঁচল গোঁজায়ে হেঁটে যেতে প্রতিদিন,
ভোরের কুয়াশা ভেঙে- হিম স্রোত গাঙুরের পাড়ে; শঙ্খের মতো শান্ত ধবল হাঁসটিরে তাড়া করে করে, আহ্লাদে ভেসে যেতে,- ছিঁড়ে ফেলে কাশফুল, সূর্যমুখীর কচি কচি প্রাণ!
তব কি শান্তি লভিয়াছ কখনো, কোনদিন?
প্রকৃতির সপ্রতিভ বন্ধনীর ভেতর-
নরম ঘাসের বিছানায় বসে- কোনোএক প্রেমিকের হাতখানা ধরে; তোমারে যে অসম্ভব ভালোবেসে ডেকেছিল কাছে।।