আহত অনুরাগের স্পর্শে তুমি সমুদ্র হয়ে গেলে!
বিগলিত জোছনা বিছিয়ে দিলো রূপালী স্বপ্নের অমিয়-গালিচা।
অতর্কিত পদক্ষেপে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল।
কারণ তৃষ্ণাহীন আমি চেয়েছিলাম বরফের উদ্যান,
চেয়েছিলাম তুষারঝড়ে বয়ে যাওয়া কোন রক্তাক্ত নদীর সমর্পন।


আবার যখন সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ হতে চাইলাম
এনে দিতে চাইলাম গভীর রাতের স্নিগ্ধ স্পন্দন,
সূর্যসঙ্গমে তুমি হয়ে উঠলে বিদগ্ধ পাহাড়!
অথচ আমি শুধু হিমালয়ের নাম শোনা নগণ্য এক অন্ধকার!


তবুও আজন্ম প্রেমান্ধ আমি তোমার চূড়ায় বসাতে চেয়েছি প্রেমের পতাকা
বলো তোমার হৃদয় কি বারবার এই আরোহীর মৃত্যুর স্বাক্ষ্য দেয় নি?
অথচ মৃত্যুও যখন ছুঁয়ে দেখেছিলো এ বুকের বাম পাশে লালিত কলঙ্ক-গোলাপ,
কন্টকবিদ্ধ তার নগ্ন শরীরে ঝরেছিল অনুতাপের রক্তধারা।


তাই সবসময় তোমার দগ্ধতায় চোখ মেলেছে আমার অহংকার।
কবিরা অপেক্ষায় ছিলো তাদের শেষ কবিতা লিখবে বলে।
কিন্তু এ কি!
শেষবার যখন চোখ মেলি, দেখলাম তুমি হয়ে গেছো বৃক্ষ!
তোমার সবুজের দিকে বিভ্রান্তি নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম শুধু অনিমেষ, আমি আর আকাশ হতে পারিনি।