ছিলে তুমি হাতের রেখায়, অনিবার্য প্রগাঢ়তায়।
তোমাকে অপ্রাপ্তির চিহ্নটাও দেখা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত সুস্পষ্টতায়!


ঐ চিহ্ন দেখার পর ভগবান লাশ হয়ে দর্শণ দিয়েছিল স্বপ্নে।
আমার অভিমানের রক্ত লেগে ছিল ভগবানের কাফনে!


তাকে দাফন না দিয়েই স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠা
ঘেমে যাওয়া কপালে হাত ঘষে মুছে ফেলতে চেষ্টা করি সমস্ত রেখা!


অথচ রেখাগুলো আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে!
তখন ইচ্ছে জেগেছিল ঈশ্বরকে স্নান করাই চোখের জলে,
তারপর দাফন করে দেই হৃদয়-কবরে।
কিন্তু যেই কুয়াশা-মানবীর জন্ম ঈশ্বরের শীতল অস্তিত্বের একটি বিন্দু থেকে  ,
সে কিভাবে দাফন দিবে গোটা ঈশ্বরকে?  


তাই জন্মদাতা ঈশ্বরের কাছে চাচ্ছি,
খুব চাচ্ছি আজ বৃষ্টি হোক!
আকাশের না বলা কথা মৃত্তিকার বুকে আছড়ে পড়ুক!
ভিজে যাক আজ অনায়াসে যত উত্তপ্ত প্রলাপ,
ধরিত্রির কর্নে বাজুক আকাশের অনিরুদ্ধ সংলাপ।


আমি আমার হাত পেতে দিবো আকাশ ও মৃত্তিকার মাঝে,
যদি বদলে যায় আমার ভাগ্য বৃষ্টিসংগমে!
আকাশের সজল সংলাপের তীব্রতায় হাতের ঐ চিহ্নটি যদি একটু নড়ে উঠে,
তখনই অন্য হাতের আঙুলের টোকায় ফেলে দিবো ওটাকে, ভেজা মাটির অন্ধকারে!


মাটির গন্ধ হবে তখন আরো মনোহর,
অন্তরীক্ষের অন্তরে জমানো কথার আরো প্রবল বর্ষায় কপোলে জাগবে নতুন ভাগ্য-সিঁদুর।
হাতের রেখারা তখন পাতায় পাতায় জাগ্রত উপশিরার সবুজ উচ্ছাস!
সামনে তখন ঈশ্বরকে দেখবো, উনার হাতে থাকবে অনিন্দ্য কারুকার্যে সাজানো শৈল্পিক হৃদয়খানি তোমার।