আমার মাঝে থাকা আমিকে যখনই তোমার কাছে নিয়ে গেছি,
তখন আমাকে আর আমি চিনতে পারিনি।
তবুও তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম শতাব্দীর পর শতাব্দী।


এত হৃদয় আছড়ে পরলো অথচ আমি ফিরেও তাকাইনি
নক্ষত্রের ডাক কিংবা জোনাকি-সমর্পনেও থেকেছি অবিচল।
কোনো মরুঝড় পারেনি এ চোখে ধূলো জমাতে,
শ্রাবণধারাতেও দৃষ্টি ঝরে পরেছিলো শুকনো পাতার মতো, তোমার শীতল অস্তিত্বে।


এতকালের এই বিধ্বস্ত চোখ তোমাকে চিনতে গিয়ে নিজেকে চিনেনি
তাই অন্ধত্বের গহবরে উপড়ে ফেলে দিচ্ছি এ চোখ।
তুমি যদি কোনোদিন ও চোখ হাতে তুলে নাও তবে দেখবে-
আক্ষেপ নেই-
বিষাদ নেই-
অনুভূতি নেই-
তুমিও নেই।